জালে ১১ মণ পাঙাশ, বদলে গেলে জেলের ভাগ্য

পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় আব্বাস মাঝি নামের এক জেলের জালে ধরা পড়েছে ১১ মণ পাঙাশ।

বুধবার (১৫ নভেম্বর) সকালে এসব মাছ কুয়াকাটা মেয়র মাছ বাজারে আসেন ওই জেলে। পরে আড়তে নিলামের মাধ্যমে ১ লাখ আট হাজার টাকায় মাছগুলো বিক্রি করেন।

আব্বাস মাঝি বলেন, আগে সাগরে এতো পাঙাশ ছিল না। আমরা মূলত লাল-জাল ফেলি। এই জালে এত পাঙাশ ওঠে। মাছগুলো ১ লাখ ৮ হাজার টাকা বিক্রি করে আমি অনেক খুশি।

আড়তের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনোয়ার হাওলাদার বলেন, জেলে আব্বাস ট্রলার নিয়ে তিন দিন আগে সাগরে যান। আজকে বোট ভরে পাঙাশ নিয়ে আসেন। গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক থাকলে দেড় লাখ টাকা বিক্রি হতো। কিন্তু অবরোধ থাকায় মাত্র ১ লাখ ৮ হাজার টাকায় বিক্রি করতে পেরেছেন।

কলাপাড়া সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, ২২ দিনে ইলিশ প্রজনন ক্ষেত্রসমূহে পরীক্ষামূলক নমুনায়নে ৮৩ শতাংশ ইলিশের রেণুর সাথে ১৭ শতাংশ অন্যান্য মাছের রেণু পোনাও পাওয়া যায়। ফলে ইলিশ আহরণ নিষিদ্ধকালীন ২২ দিনে উপকূলে অন্যান্য মাছেরও নিরাপদ প্রজনন সম্পন্ন হচ্ছে। যা দেশে অন্যান্য প্রজাতির মাছের উৎপাদন বৃদ্ধিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।