বাস্তবেও হিরো হতে চাই : ফেরদৌস

চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ। ঢাকার পাশাপাশি কলকাতা এবং বলিউডের সিনেমাতেও অভিনয় করেছেন। অভিনয়ের পাশাপাশি রাজনীতিতেও বেশ সরব। বর্তমান ব্যস্ততা এবং সমসাময়িক প্রসঙ্গ নিয়ে আজকের ‘হ্যালো…’ বিভাগে কথা বলেছেন তিনি।

বর্তমানে কী নিয়ে ব্যস্ত?

অনেকগুলো কাজ নিয়েই ব্যস্ত আছি। যার মধ্য কিছু আছে ব্যক্তিগত, কিছু প্রফেশনাল। কয়েকটি সিনেমা মুক্তির কথা রয়েছে। যার মধ্যে ‘দামপাড়া’, ‘লাল কাঁকড়া’, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি’ উল্লেখযোগ্য। এছাড়া নতুন একটি সিনেমার কাজও শুরু করেছি।

নতুন সিনেমার কাজ শুরু করেছেন। এতে আপনার চরিত্র কেমন?

কয়েকদিন হয়েছে মাত্র নতুন সিনেমাটির কাজ শুরু করেছি। নাম ‘যুদ্ধ জীবন’। এটি পরিচালনা করেছেন রিফাত মোস্তফা। বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর ওপর সিনেমাটি নির্মিত হচ্ছে। এখানে একজন সেনা কর্মকর্তার চরিত্রে আমাকে দেখা যাবে। এ সিনেমা নিয়ে আমি ভীষণ এক্সাইটেড। কারণ একজন সেনা সদস্যদের ত্যাগ এবং বলিদান আমরা বাস্তবে কল্পনাও করতে পারি না।

পাঁচ বছর পর আপনার ‘যদি আরেকটু সময় পেতাম’ সিনেমাটিও মুক্তির ঘোষণা এসেছে। এত দেরি হওয়ার কারণ কী?

আমি খুবই আনন্দিত এই বিষয়টি নিয়ে। কারণ এটি আমার এ পর্যন্ত করা সিনেমাগুলোর চেয়ে পুরোপুরি আলাদা। মূলত এটি একটি এক্সপেরিমেন্টাল সিনেমা। এতে প্রবাসে বসবাসকারী এক বাঙালি ছেলে এবং সেখানকার স্থানীয় এক মেয়ের প্রেম, সম্পর্কের টানাপোড়েন দেখানো হবে। সুন্দর গল্পের পাশাপাশি একটা সামাজিক বার্তাও আছে। পুরো সিনেমার শুটিং হয়ে লন্ডনে। শেষ পর্যন্ত এটি দর্শকের সামনে আসছে, এটা শুনে খুব ভালো লাগছে।

কিছুদিন আগে ‘হঠাৎ বৃষ্টি’ সিনেমার পঁচিশ বছর পূর্ণ হলো। কেমন অনুভূতি হচ্ছে?

অবশ্যই ভালো লাগছে। একই সঙ্গে কিছুটা স্মৃতিকাতরও লাগছে। এ সিনেমার শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা স্মৃতি হয়ে আজীবন থাকবে। প্রায়ই প্রায়ই আমি সেগুলো মনে করি আর হারিয়ে যাই। সিনেমাটির চিত্রনাট্য এবং বিভিন্ন বিষয় বই আকারে প্রকাশ হয়েছে। এবার এটি নিয়ে অনেক তথ্যই জানতে পারবেন পাঠকরা।

রাজনীতিতেও সক্রিয় আপনি। জাতীয় নির্বাচন নিয়ে ভাবনা কী?

অনেক আগে থেকেই আমার ইচ্ছা ছিল, দেশের জন্য, সমাজের মানুষের জন্য কিছু করার। শুধু তাই নয়, শিল্প-সংস্কৃতিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। রাজনীতি সেই ইচ্ছা পূরণের একটা মাধ্যম। সিনেমায় অনেকবার হিরো হয়েছি, এবার বাস্তবে হিরো হতে চাই। মানুষের জন্য কাজ করতে চাই। আর আমি বিশ্বাস করি, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে।