মিঠুনের কুড়িয়ে পাওয়া সেই মেয়ের সৌন্দর্যে হার মানবে নায়িকারাও

অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী গত রবিবার ব্রিগেডে দাড়িয়ে গেরুয়া শিবিরে যোগ দিয়েছেন, আর তারপর থেকেই চর্চায় উঠে এসেছে তার নাম। তার ব্যক্তিগত জীবন থেকে শুরু করে তার সন্তানদের কথা, সমস্তই এই মুহুর্তের হট টপিক।

মিঠুন চক্রবর্তী একসময় কলকাতা থেকে গিয়ে মুম্বাই এর মতন শহরে নিজের পরিচিতি স্থাপন করেছিলেন, হয়ে উঠেছিলেন স্বপ্ননগরীর ডিস্কো ড্যান্সার, বিয়ে করেছিলেন অভিনেত্রী যোগিতা বালানকে, যোগিতা সাথে অভিনেতার তিন পুত্র সন্তান, মিমোহ চক্রবর্তী রিমোহ চক্রবর্তী, নামসী চক্রবর্তী, এবং এক কন্যা দিশানী চক্রবর্তী। তবে জানা যায় অভিনেতা দিশানীকে দত্তক নিয়েছিলেন।

দিশানীকে কলকাতার পরিত্যক্ত এক জায়গা থেকে তুলে নিয়ে তাকে মেয়ে হিসাবে দত্তক নিয়েছিলেন মিঠুন চক্রবর্তী। তিন ভাইয়ের পর একমাত্র মেয়ে হওয়ায় স্বাভাবিক ভাবেই খুব আদরের দিশানী। তিনি এখন নিউ ইয়র্কের ফিল্ম অ্যাকাডেমিতে পড়াশুনা করছেন, ভবিষ্যতে তিনি বাবার মতোই অভিনয় জগতে কাজ করতে চান।

এদিকে, টলিউড ও বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী। কোনো গড ফাদার ছড়ায় কেবল অভিনয় দক্ষতা দিয়ে ভারতীয় সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিতে নিজের যে জায়গা তিনি তৈরি করেছেন তা সত্যিই অভাবনীয়।

মিঠুন চক্রবর্তী শুধু একটি নাম নয়, ব্র্যান্ড। বাংলা, হিন্দি ছবিতে অভিনয়ের পাশাপাশি নানান রিয়েলিটি শোতে মুখ্য বিচারিক ‘মহাগুরু’র আসনেও সমানভাবে ক্রেজ ছড়িয়েছেন দর্শকদের মনে।

কেরিয়ারের দিক থেকে একেবারে একশো শতাংশ সফল মানুষটির ব্যক্তিগত জীবনে কিন্তু রয়েছে নানান ওঠানামা। শোনা যায়, বলিউড ডিভা শ্রীদেবীর সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন মিঠুন। তবে, স্ত্রী যোগিতা বালিকে ছেড়ে আসা তার পক্ষে সম্ভব হয়নি। তাই শ্রীদেবী বিয়ে করে নেন প্রযোজক বনি কাপুরকে। এখন যোগিতা বালি ও চার সন্তানকে নিয়ে সুখী গৃহকোণ মিঠুনের।

কিন্তু জানেন কি চার সন্তানের পিতা হয়েও মিঠুনের কখনোই ‘বাবা’ ডাক শোনার সৌভাগ্য হয়নি। যদিও চার সন্তানের সঙ্গেই মিঠুনের বন্ধুত্বপূর্ন সম্পর্ক। তবে কেন অভিনেতা বাবা ডাক জোটেনি? এর পেছনের আসল কারণ একদা অভিনেতা নিজে মুখেই জানিয়েছিলেন। আর তা হলো, তার জ্যেষ্ঠপুত্র মিমোর বয়স ৪ বছর হয়ে গেলেও সে কথা বলতে পারতো না। কিন্তু ঈশ্বরের কৃপায় সে একদিন হঠাৎই ‘মিঠুন’ বলে ওঠে।

মিমোর কণ্ঠে প্রথম শব্দ ‘মিঠুন’ ছিল। এই শুনে হতবাক বাড়ির সবাই। তৎক্ষণাৎ মিমোকে নিয়ে যাওয়া ডাক্তারের কাছে। এরপর চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী মিমোকে বারবার মিঠুন বলানো হয়।

বড়ো হওয়ার সাথে মিমোর এটি অভ্যাসে পরিণত হয়। আর বড়ো দাদার দেখাদেখি বাকি দুই ছোট ভাই ও বোনও বাবাকে মিঠুন বলেই ডাকতে থাকে। ফলে মিঠুনের সঙ্গে সন্তানদের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ন সম্পর্ক হলেও বাবা ডাক শোনার সৌভাগ্য হয়নি অভিনেতার।