এই অরণ্যে সোজা কোনো গাছ নেই! সব গাছ ইংরেজি বর্ণমালা ‘সি’-এর মতো। এর নাম ক্রুকেড ফরেস্ট। পোলান্ডের এই অরণ্যে প্রতিটি গাছই মাটির সঙ্গে ৯০ ডিগ্রি অবস্থানে রয়েছে। এখানে রয়েছে ৪০০ টি পাইন গাছ। গাছগুলো ১৯৩০ সালে লাগানো হয়। কিন্তু কেন প্রত্যেকটি গাছ এমনভাবে বেঁকে গিয়েছিল তার উওর আজও অজানা।
কেউ কেউ মনে করেন কৃত্রিম কোনো পদ্ধতির কারণে এই গাছ একই রকমভাবে বেঁকে গেছে। আবার কেউ কেউ মনে করেন, তুষার ঝড়ের কারণে এই অবস্থা হয়েছে। অনেকে মনে করে থাকেন, বনটি তৈরি করা হয়েছিল এর কাঠ দিয়ে নৌকা বানানোর জন্য। তাই গাছগুলোকে বিশেষ প্রক্রিয়ায় বাঁকানো হয়।
কেউ বলেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর শহরটি ধ্বংস হয়ে যায়। বিশ্বযুদ্ধের সময় নাকি সামরিক ট্যাঙ্ক গিয়েছিল এই জঙ্গলের ভেতর দিয়েই। তাই ট্যাঙ্কের আঘাতে এরকম বেঁকে গিয়েছে গাছগুলো, তবে এই তত্ত্ব নিয়েও উদ্ভিদ বিজ্ঞানীদের মধ্যে সংশয় রয়েছে।
এই বিচিত্র জঙ্গলে পর্যটকরা বেড়াতে আসেন। এখানে শুটিংও হয়েছে বেশ কয়েক বার। কিন্তু গাছের আকৃতির কারণ নিয়ে সঠিক উত্তর জানা যায়নি। এখনও এই নিয়ে গবেষণা চলছে।