খাগড়াছড়িতে মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে ১৫ জন ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল-২০২৪ নিয়োগ দিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ। সেইসাথে উত্তীর্ণ নব্য পুলিশ সদস্য ও তাদের পরিবারবর্গ কে ফুল দিয়ে বরণ করেছেন পুলিশ সুপার মুক্তা ধর৷
গত বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টায় পুলিশ লাইন্সের ড্রিল শেডে ‘সেবার ব্রতে চাকরি’—এই শ্লোগানে খাগড়াছড়ি জেলায় নিয়োগযোগ্য শূণ্য পদের বিপরীতে বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি অনুসরণ করে শতভাগ মেধা, যোগ্যতা ও স্বচ্ছতার মাধ্যমে বাংলাদেশ পুলিশে ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে নিয়োগপ্রাপ্ত ১৫ জন পুলিশ সদস্য ও তাদের পরিবারবর্গ কে ফুলেল শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান পুলিশ সুপার মুক্তা ধর।
এসময় অভিভাবকরা আবেগপ্রবণ হয়ে তাৎক্ষণিক অনুভূতি ব্যক্ত করে বলেন, তারা কৃষক, দিনমজুর ও অটোচালকসহ বিভিন্ন পেশার সাথে জড়িত। যদি বাংলাদেশ পুলিশ স্বচ্ছতা, যোগ্যতা এবং মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ না দিতেন তাহলে আজ তাদের সন্তানেরা বাংলাদেশ পুলিশের মত গর্বিত বাহিনীতে চাকরি করার সুযোগ পেত না । এ সময় তারা মতাদের সন্তানদের বাংলাদেশ পুলিশে নিয়োগ দেওয়ায় বাংলাদেশ পুলিশের আইজিপি ও খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপারকে ধন্যবাদ জানান।
চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ উষা চিং মারমা’র মা বলেন, আমি একজন গৃহিণী। আমার মেয়ে অনেক কষ্ট করে পড়া লেখা করেছে। আজকে আমার মেয়ে কোন ধরনের তদবির, ঘুষ ছাড়াই সম্পূর্ণ যোগ্যতা, স্বচ্ছতা এবং মেধার ভিত্তিতে বাংলাদেশ পুলিশে নিয়োগ পেয়েছে। ছোট থেকেই আমার মেয়ের পুলিশ হওয়ার স্বপ্ন ছিল। আজকে সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন হয়েছে। আমার মেয়ে ১২০ টাকায় চাকরি পেয়েছে। ১২০ টাকায় যে চাকরি হয় আমার মেয়ে না পেলে বুঝতেই পারতাম না।
মেধা তালিকায় প্রথম স্থান অর্জনকারী সুমন জানান,ছোটবেলা থেকেই পুলিশ হওয়ার স্বপ্নে বিভোর ছিলেন।আজ তার সেই স্বপ্ন পূরন হতে চলেছে।সুমন আরও প্রত্যাশা করেন,পুলিশ বাহিনীতে যোগদান করে দেশ ও জনগণের সেবার মাধ্যমে দেশের আইন- শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সদা তৎপর থাকবেন।
পুলিশ সুপার মুক্তা ধর তার বক্তব্যে চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণদের অভিনন্দন জানিয়ে সততা, নিষ্ঠা ও পেশাদারিত্ব সাথে দেশসেবার মনোভাব নিয়ে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে কাজ করার আহবান জানান। সেইসাথে প্রশিক্ষণকালীন বিভিন্ন কার্যক্রম নিয়ে তাদের বিভিন্ন দিক নির্দেশনা প্রদান করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) মোঃ জসীম উদ্দিন, সহকারী পুলিশ সুপার সৈয়দ মুমিদ রায়হান সহ জেলা পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।