রাজধানীর শ্যামবাজারে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩৮ থেকে ৪১ টাকা কেজি। এই বাজারে গেলো এক সপ্তাহে পেঁয়াজের দাম কমেছে প্রতি কেজিতে ৫ টাকা। অন্যদিকে গেলো সপ্তাহে কারওয়ান বাজারে পাইকারিতে যে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিলো ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি। সোমবার সেই পেঁয়াজই বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪২ টাকা কেজি।
এই বাজার থেকে ৫ কেজির এক পাল্লা পেঁয়াজ কিনলে দাম পড়ছে কেজি প্রতি ৪২ টাকা। খুচরা বাজারেও পেঁয়াজের কেজি নেমে এসেছে ৫০ টাকায়।
এদিকে, ভারত থেকে যে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ আসার কথা, তার এক হাজার ৬৫০ টন পেঁয়াজ দেশে ঢুকেছে। ওই পেঁয়াজ ৪০ টাকা কেজি দরে ঢাকা ও চট্টগ্রামে ফ্যামিলি কার্ডধারীদের কাছে বিক্রি করবে টিসিবি।
গত বছরের ডিসেম্বরে অভ্যন্তরীণ বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ ও দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভারত নিত্যপণ্যটির রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলে বাংলাদেশের বাজারে বাড়তে বাড়তে প্রতি কেজি ২৫০ টাকার ওপরে উঠে যায় পেঁয়াজের দাম।
তবে মুড়িকাটা পেঁয়াজ বাজারে উঠলে কমতে শুরু করে দাম। কিন্তু মুড়িকাটার সংকট দেখিয়ে ফের বাজার অস্থির করার চেষ্টা করে অসাধু সিন্ডিকেট।
এরপর গত মাসে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির খবরে এবং হালি জাতের পেঁয়াজ বাজারে উঠতে শুরু করায় পড়ে যায় পেঁয়াজের দর। খুচরা পর্যায়ে বিক্রি হতে দেখা যায় ৬০ টাকায়।
এদিকে, নির্বাচনকে সামনে রেখে গত ২৩ মার্চ বাজার নিয়ন্ত্রণে ভারত আবার অনির্দিষ্টকালের জন্য পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করলে আরও অস্থির হতে শুরু করে পেঁয়াজের দাম। গত সপ্তাহে রাজধানীর বাজারে পেঁয়াজের দাম ওঠে যায় ৭০ টাকায়।
কিন্তু বাজারে পুরোদমে হালি পেঁয়াজ ওঠায় ও বিশেষ ব্যবস্থায় ভারত থেকে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ আসার খবরে আবারও কমতে শুরু করে পেঁয়াজের ঝাঁজ।