১১ ফুট লম্বা বেলকচু। ওজন দুই মণ। বিশাল আকৃতির বেলকচুটি আড়াই হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে। বেলকচুটি ১০ জন ক্রেতা মিলে ভাগ করে নেন। এর আগে, সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় নিজের বাড়িতে জন্মানো কচুটি বিক্রি করা হয়। এমনই এক কচু দেখতে ভিড় করছেন উৎসুক জনতা। কৃষক বারেক টন্নি পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলা সদরের পুজাখোলা এলাকার বাসিন্দা।
কৃষক মো. বারেক টন্নি বলেন, ৩ বছর আগে শখ করে এক আত্মীয়র কাছ থেকে ৫০টি চারা সংগ্রহ করে বসতবাড়ির মধ্যে পতিত জমিতে রোপণ করি। নিজেরা খাওয়ার পাশাপাশি স্বজনদের বিনামূল্যে দিয়েও এ পর্যন্ত প্রায় ২০ হাজার টাকার কচু বিক্রি করেছি। ঘরের কাছে থাকায় এটি কাটিনি। তেমন পরিচর্যাও করিনি। তবে কয়েকদিন পরপর শুধু ছাই দিয়েছি।
কচুটির এক ক্রেতা জামাল হোসেন বলেন, এত বড় কচু আমি আর দেখিনি। এ জাতের কচু অনেক সুস্বাদু। একা কেনা সম্ভব না। তাই ভাগে কিনেছি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. জাফর আহমেদ বলেন, এ জাতের কচুতে পোকা মাকড়ের আক্রমণ ও রোগ বালাই কম হয়। বসতবাড়ির আঙিনায় পতিত জমিতে, রাস্তার পাশে, খাল পাড়ে এটি চাষ করা যায়। তাই এটি চাষে ফসলি জমির অপচয় হয় না। খেতে সুস্বাদু ও ভালো বাজার দর থাকায় এ জাতের কচু চাষে কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছি কৃষি বিভাগ।
সূত্র: ডেইলি বাংলাদেশ