দেশের মাটিতেই প্রথমবারের মত আঙুর চাষে বাজিমাত করেছেন কুমিল্লার দেবিদ্বার পৌরসভার মরিচাকান্দা গ্রামের চাষি আনোয়ার। ব্যাপক সফলতার পাশাপাশি হয়েছেন একজন সফল আঙুর চাষি। ইতোমধ্যে আঙুর পাকতে শুরু করেছে। চলতি বছর প্রায় ১০ লাখ টাকার আঙুর বিক্রির স্বপ্ন দেখছেন তিনি।
জানা যায়, ২০২৩ সালে ৩০০টি ভারতীয় মিষ্টি জাতের গোল আঙ্গুরের চারা রোপণের মাধ্যমে বাগান শুরু করেন। চলতি বছর বাগানের প্রায় প্রতিটি গাছেই থোকায় থোকায় ধরেছেন আঙুর। তার এই বাগান দেখতে প্রতিদিনই মানুষজন ভীর করছেন।
আনোয়ার বলেন, অনেক আশা নিয়ে এই বাগানটি করেছিলাম। কিন্তু এত অল্প সময়ে এমন বাম্পার ফলন পাব সেটা ভাবিনি। চলতি বছর প্রতিটি গাছে প্রায় ১৫ থেকে ২০ কেজি করে আঙ্গুর ধরেছে। আশা করছি ৫ হাজার কেজি আঙুর হারভেস্ট করতে পারব। ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে পারলেও প্রায় ১০ লাখ টাকার আঙুর বিক্রি করতে পারব।
তিনি আরও বলেন, বছরে দুইবার চাষে প্রতি গাছ থেকে ৫০ থেকে ৬০ কেজি ফল পাওয়া যায়। একটি চারা থেকে অপর চারা ৭-৮ ফুট দূরত্বে লাগানো হয়েছে। এ গাছ লাগানোর আগে জমি প্রস্তুত করে প্রতিটি গর্তে ইটের গুঁড়া, মোটা বালু ও জৈব সার মাটির সঙ্গে মিশ্রণ করা হয়েছে। প্রতিটি গাছের গোড়ায় মাটি দিয়ে উঁচু করা হয়েছে যাতে পানি জমে না থাকে এবং দ্রুত লম্বা ও উঁচু হয়। বাগানের ফলগুলো দেখলে আমার চোখ জুড়িয়ে যায়।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার বানিন রায় বলেন, দেশের মাটিতেই এখন আঙুর চাষ হচ্ছে। এটি উচ্চ মূল্যের লাভজনক ফসল। আশাকরছি বাণিজ্যিকভাবে আরও বাগান গড়ে উঠবে। এতে করে আমদানি নির্ভরতা কমে যাবে। যা দেশের অর্থনীতির জন্য অনেক ভাল। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে।