শখ করে বন্য প্রাণী পুষতে পছন্দ করেন অনেকেই। সেসকল পশু-পাখি প্রেমী সৌখিন মানুষদের শখ পূরণে বিশেষ আরো এক নতুন সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এবার মাত্র ৫০ হাজার টাকাতেই মিলবে হরিণ। তবে তা কিনতে যেতে হবে সুন্দরবন কিংবা বান্দরবন। এবার রাজধানীর জাতীয় চিড়িয়াখানা থেকেই সুনির্দিষ্ট প্রক্রিয়ায় মাত্র ৫০ হজার টাকাতেই যে-কেউ কিনতে পারবেন হরিণ। এক্ষেত্রে, শর্ত হলো একসাথে কিনতে হবে জোড়া হরিণ।
বৃহস্পতিবার (৯ মে) জাতীয় চিড়িয়াখানার সহকারী পরিচালক এম.এ জলিল এ তথ্য নিশ্চিত করে সময়ের কণ্ঠস্বরকে জানান, অনুকূল পরিবেশ, সঠিক যত্ন আর ভালো ব্যবস্থাপনার কারণে চিড়িয়াখানায় ধারণ ক্ষমতার চেয়ে সংখ্যায় বেশি হয়ে গেছে হরিণ। তাই সরকারি নিয়ম-নীতি মেনে আহগ্রীদের কাছে কিছু হরিণ বিক্রি করা হচ্ছে।
তিনি জানান, জাতীয় চিড়িয়াখানায় বর্তমানে ৩ শ’র বেশি চিত্রা হরিণ রয়েছে। এখানে চিত্রা হরিণের যে শেড রয়েছে, সেখানে ১৫০টি হরিণ থাকার মতো জায়গা রয়েছে। তাই চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত হরিণ বিক্রি করে দিচ্ছে।
তনি আরো বলেন, ২০২১ সালের জানুয়ারিতে সর্বপ্রথম প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে একজোড়া (একটি পুরুষ এবং একটি মেয়ে) হরিণের সরকার নির্ধারিত দাম ধরা হয়েছিল ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা। তবে এবার সে মূল্য শিথিল করে এক জোড়া হরিণের বর্তমান মূল্য ১ লাখ টাকা নির্ধারণ করেছে কর্তৃপক্ষ।
কেউ যদি হরিণ কিনতে চায় তাহলে যথাযথ কর্তৃপক্ষের বরাবর আবেদন করতে হবে উল্লেখ করে এমএ জলিল আরো বলেন, সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বন বিভাগ থেকে ক্রেতাকে একটা সার্টিফিকেট দেবে-তার হরিণ পালনের সক্ষমতা রয়েছে। বন বিভাগের সেই সার্টিফিকেট দেখে তার কাছে হরিণ বিক্রি করবে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ।
পরিশেষে তিনি বলেন, মানুষ ভাবে আমাদের এই চিড়িয়াখানা হরিণের খামার হয়ে গেছে। না, চিড়িয়াখানা তো খামার নয়। এটা একটা প্রদর্শনী কেন্দ্র এবং সরকারি জাতীয় প্রতিষ্ঠান। সুতরাং আমাদের চিড়িয়াখানার খাবারের বাজেট, লোকবল, স্থান সবকিছু মিলে সংকুলান হচ্ছে না। সুতরাং, এই অতিরিক্ত হরিণগুলো আমাদেরকে বিক্রি করতে হচ্ছে। তবে কোনো অবস্থাতেই এই হরিণ জবাই করে খাওয়া যাবে না। চিড়িয়াখানা থেকে যে কারো ক্রয়কৃত হরিণের দেখভালে বন বিভাগের প্রাণী কর্মকর্তারা সার্বিক সহায়তা করবেন।