কচুর লতি চাষে লাভবান হচ্ছেন হবিগঞ্জের চাষিরা। লতি চাষ লাভজনক হওয়ায় প্রতিনয়ত বাড়ছে নতুন নতুন চাষির সংখ্যা। অল্প সময়ের স্বল্প খরচে বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি চাষের পাশাপাশি লতি চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছে কৃষকেরা।
চলতি মৌসুমে লালশাক, ধনিয়াপাতা, টমেটো, ডাঁটা, ফুলকপি, বাঁধা কপি চাষের পাশাপাশি আগাম উচ্চ মূল্যের ফসল লতিকচু চাষ করেছেন এই অঞ্চলের একাধিক চাষি। স্থানীয় বাজারসহ রাজধানীতে লতির ব্যাপক চাহিদা ও দাম ভাল থাকায় খুশি চাষিরা।
লতি চাষি রফিক বলেন, আমি সারাবছরই কোননা কোন শাকসবজি চাষ করে আসছি। এতে আমি বেশ লাভবান। এ বছর অন্যান্য ফসলের আবাদ এর পাশাপাশি লতিকচু চাষ করেছি। ইতোমধ্যে ৬০ টাকা কেজি দরে ১ শত কেজির মতো বিক্রয় করছি। এভাবে বিক্রয় করতে পারবেন প্রায় ২০ হাজার টাকার মতো। এতে তাঁর মুনাফা হবে ১৮ হাজার টাকা।
রফিকের পাশাপাশা এলাকার আরও প্রায় ৩০ চাষি লতি চাষ করেছেন। সবারই প্রচুর ফলন এসেছে। অনেকেই এবারই প্রথমবারের মত কচুর লতি চাষ করেছেন। অন্যান্য ফসলের তুলনায় কচুর চাষ বেশ লাভজনক। এছাড়াও লতি সংগ্রহের পাশাপাশি কচুও বিক্রি করা যায় বলে এটি চাষাবাদে আগ্রহী হয়ে উঠছেন বলে তারা জানান।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মাহমুদুল হাসান মিজান বলেন, লাখাইয়ে ধান আবাদের পাশাপাশি শস্যের বহুমুখীকরন এর লক্ষ্য নিয়ে আমরা কাজ করে আসছি। কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ এবং উদ্বুদ্ধকরণ সভা করে সচেতনতামূলক কার্যক্রম হাতে নিয়েছি। এতে কৃষকদের বেশ আগ্রহ বাড়ছে। আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে সিলেট অঞ্চলের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় কৃষকদের প্রদর্শনী দিয়ে সহযোগিতা করে আসছি।