গার্মেন্টসকর্মী রুবেল হত্যার নির্দেশদাতা হিসেবে সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের নামে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) আদাবর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে গার্মেন্টসকর্মী রুবেলের বাবা রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেছন। ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনকে মামলার ২৯ নম্বর এজাহার নামীয় আসামি করা হয়েছে। একই মামলার ২৮ নম্বর এজাহার নামীয় আসামি সাবেক সংসদ সদস্য ও ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানও।
মামলার ২৯ নম্বর আসামির ঠিকানা লেখা রয়েছে ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন, সাবেক সংসদ সদস্য, পিতা সৈয়দ এরশাদ আলী, সাং- সৈয়দ সাহেবের বাসা, বড়াইল, ডাকঘর চুনারুঘাট-৩৩২০, থানা চুনারুঘাট, জেলা হবিগঞ্জ।
গার্মেন্টসকর্মী রুবেল হত্যার ঘটনায় মামলার বাকি আসামিরা হলেন- সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ ১৫৬ জন। মামলায় অজ্ঞাত আরও ৪০০-৫০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলায় আসামির তালিকায় দল হিসেবে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, শ্রমিকলীগ, তাঁতীলীগ, কৃষকলীগ, মৎস্যজীবী লীগের নামও রয়েছে।
ডিএমপির আদাবর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. নজরুল ইসলাম মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার এজাহারে বাদী অভিযোগ করে বলেন, গত ৫ আগস্ট রুবেল আদাবরের রিংরোডে প্রতিবাদী মিছিলে অংশ নেয়। এ সময় আসামিদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ নির্দেশ ও প্রত্যক্ষ মদদে কেউ মিছিলে গুলি ছুড়ে। বুকে ও পেটে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় রুবেলকে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসারত অবস্থায় ৭ আগস্ট মারা যান।
উল্লেখ্য, সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন যুবলীগের কেন্দ্রীয় আইন বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হবিগঞ্জ-৪ আসনে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মাহবুব আলীকে ৯৯ হাজার ৫৫৬ ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে বিজয়ী হন।