রাজধানীর আদাবরের স্থানীয় বাসিন্দা ওয়াহিদ হোসাইন সাদ্দাম। ছোটবেলা থেকেই মানুষের প্রতি ভালোবাসা এবং মানুষের খারাপ সময়ে সাহসীকতার উপস্থাপন ছিল তার। মানুষের যে কোন ছোটখাটো বিপদে সর্ব অবস্থায় মানুষের পাশে উপস্থিত থাকার চেষ্টা তার। এলাকাবাসীও তাকে স্নেহ ও শ্রদ্ধার সাথে ভালোবাসেন।
তেমনিভাবে বুধবার রাতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কিছু ছাত্ররা রিং রোড এর একটি হাসপাতালে একজন ডাক্তারের পদত্যাগ চান। এরপরের ঘটনাটি আমরা তার ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকেই জেনে নেই –
আজকে মোহাম্মদপুর রিং রোড সেন্ট্রাল হাসপাতাল কিছু ছাত্ররা গিয়ে ডাক্তারদের পদত্যাগ দাবি করে যে এই মুহূর্তে পদত্যাগ করতে হবে, তখন আদাবর থানার পুলিশ সেখানে যায়, যাওয়ার পর পুলিশদের সাথে হয়তো কোন ঝামেলা হয়েছে তখন আদাবর থানা থেকে আমার নাম্বার এ একটা কল আসে যে আপনারা একটু আসেন , এখানে কোন সমস্যা হতে পারে, আমাদের আটকিয়ে রাখা হয়েছে এমন কিছু।
তারপর আমি সেখানে যাই অনেকগুলো পোলাপান আমার সাথে নিয়েই , তো তারপর আমরা যাওয়ার পর পুলিশ হাসপাতাল থেকে বের হয়ে আসে, আমাদের সাথে কথা বলে যে এখন আপনারা আসছেন আমারা অনেক খুশি হয়েছি সেনাবাহিনীর কিছু গাড়ি চলে আসছে এখন সবকিছু স্বাভাবিক আছে। তারপর আমি রাত ১২:০০ দিকে বাসায় চলে আসি।
বাসায় আসার পর পুলিশদের সাথে আমার ফোনে যোগাযোগ হয়েছে এবং রাত ০২:১৫ দিকে আমাকে আবার কল দিয়েছে পার্সোনালি একটু থানায় আসতে বলে তারপর আমি থানায় গেলাম , যাওয়ার পর সবাই খুব আন্তরিকভাবে আমাকে ধন্যবাদ দিয়েছে যে তারা খুব খুশি হয়েছে তাদের পাশে কেউ ছিলনা , সবাই তাদের বিপক্ষে ছিল । আমরা গিয়ে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছি তো পুলিশ এখন খুব আতঙ্কে আছে এটা সবাই কম বেশি আমরা জানি । তো এখন তাদের ভয় না দেখিয়ে আমাদের সবার উচিত তাদের পাশে গিয়ে দাঁড়ানো ।