সম্প্রতি নিজের দ্বিতীয় বিয়ে এবং সন্তান নিয়ে বেশ আলোচনায় রয়েছেন ঢালিউড সুপারস্টার শাকিব খান। সামনে আসে চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাসের সাথে ও বিচ্ছেদের বিষয়টি। এছাড়াও আলোচনা হয় পূজা চেরির সাথে প্রেম নিয়েও। সেই সাথে যুক্ত হয় রাত্রি নামে এক চলচ্চিত্র শিল্পীর সাথে বিয়ের কথাও। এবার সেই রেশ কাটতে না কাটতেই তার বিরুদ্ধে সহপ্রযোজককে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার (১ অক্টোবর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে শাকিব খান ও বুবলীর একটি ছবি আপলোড দিয়ে মিলি সুলতানা জানান, অস্ট্রেলিয়ায় একটি ছবির শ্যুটিংয়ের সময় এক সহপ্রযোজককে ধর্ষণ করেছিলেন শাকিব খান! এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে মামলাও হয় অস্ট্রেলিয়ায়। তবে নিজের প্রভাব খাটিয়ে সে যাত্রা রক্ষা পান স্বঘোষিত কিং খান। আর সে সময় অস্ট্রেলিয়ায় উপস্থিত ছিলেন বুবলীও। তবে এ ঘটনার কিছুই জানতেন না তিনি।
ফেসবুকে মিলি সুলতানা লেখেন- অথর্ব খানের “সুপারহিরো” সিনেমার শ্যুটিং হয়েছিল অস্ট্রেলিয়ায়। নায়িকা ছিলেন বুবলী। প্রযোজকের কাছে খান সাহেবের ফরমায়েশ ছিল, হোটেলে তার ঠিক পরের কামরা যেন বুবলীর জন্য দেয়া হয়। যাতে বুবলীর সাথে তিনার লারেলাপ্পা মার্কা রোমান্স নির্বিঘ্নে কন্টিনিউ করতে পারে। হলোও তাই- সিনেমার শ্যুটিংয়ের সাথে ধুমায়ে চলতে লাগলো তাদের হোটেল রোমান্স।
২০১৮ সালে তার জন্য বিপদ হয়ে এলো বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এক অস্ট্রেলিয়ান নারী। জানা গেছে শাকিবের একটি ছবির সহপ্রযোজক ছিলো সেই নারী। সেই রমণীকে দেখে মজে যান ঢালিউডের প্রেমকুমার। ভাবলেন, ফ্রিতে হাড়িপ্পা হাড়িপ্পা খেললে মন্দ কি?
সেই অস্ট্রেলিয়ার প্রবাসী নারী ছিলেন বিবাহিতা। তার স্বামী পেশায় চিকিৎসক ছিলেন। তাকে আমাদের দেশের মোশাররফ করিম, তাহসান, কনারা ভালো করে চেনেন হয়তোবা। তার সাথে মোশাররফ করিমের ভাব ধরা ভ্যারাইটিজ সেলফি দেখে সেটাই মনে হলো।
২০১৮ সালে ওই নারী মারাত্মক ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়ে দিলেন স্বঘোষিত কিং খানের উদ্দেশ্যে। তিনি কিং খানের অশ্লীল যৌনতার শিকার হয়েছেন। যার ফলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল। ডাক্তারের কাগজপত্রেও সেই উল্লেখ ছিল। অস্ট্রেলিয়ান পুলিশের কাছে খান সাহেবের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। পুলিশ নায়ককে আটক করতে যাওয়ার আগে খবর পৌঁছে যায় তার কানে। ফোন করেন জনৈক প্রভাবশালী ইমিগ্রেশন ল’ইয়ারকে। সেই প্রভাবশালী ল’ইয়ার খান সাহেবের দোসর বনে যান, পুলিশের কার্যক্রম স্থগিত করে দেন। পুলিশের গ্রেফতার থেকে বেঁচে যান কিং খান।
ভুক্তভোগী ওই নারী যে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল সেই হাসপাতালে ডিউটি ডাক্তার ছিলেন তার স্বামী। স্ত্রীর চারিত্রিক স্খলন দেখে ডিভোর্স দেন। কিং খানের এক ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি গোপনে প্লেনের টিকিট কেটে তাকে প্লেনে বসিয়ে দেন। এভাবে অস্ট্রেলিয়া থেকে বাংলাদেশে চম্পট দেন কিং খান।
আর রেপের বিষয়ে যখন তাকে জিজ্ঞেস করা হয় তিনি বলেছেন, “আমি কেনো তাকে রেপ করতে যাবো? বরং সে-ই আমাকে ড্রিংক করিয়ে বেসামাল করে দেয়। তারপর যা হয়েছে তা দুজনের সম্মতিতেই হয়েছে। সে আমাকে প্রলুব্ধ করেছে। এমন অবস্থায় আমি কি তসবি পড়বো…? মজার বিষয় হলো বুবলীও তখন অস্ট্রেলিয়া ছিলেন। কিন্তু বুবলী ঘূর্ণাক্ষরেও বুঝতে পারেননি তার পিঠপিছে ওই নারীর সাথে লীলাখেলায় মেতেছিলেন তার প্রেমকুমার। হায়রে এভাবেও কেউ ঠক খায়?’’