বেশ কয়েক বছর আগেও যদি ভারতীয় সিনেমার বিষয়ে জানতে চাওয়া হতো, বলিউডের সিনেমাগুলো নিয়েই আলোচনা সীমাবদ্ধ থাকত। সালমান, শাহরুখ, আমির খানদের সিনেমা থাকত আড্ডার বিষয়। কিন্তু সেই ধারায় পরিবর্তন এসেছে। ধীরে ধীরে ভারতের দক্ষিণী সিনেমার কাছে জনপ্রিয়তা হারাচ্ছে বলিউড! হিন্দি হিট সিনেমার সংখ্যা এখন খুবই কম।
গতকাল ‘ওয়েভস সামিট-২০২৫’—এ যোগ দেন বলিউড অভিনেতা আমির খান। এ মঞ্চে বলিউড সিনেমার বক্স অফিস ব্যর্থতা নিয়ে কথা বলেন। তার দাবি— সিনেমা হল সংকটের কারণে বক্স অফিসে সংগ্রাম করছে হিন্দি সিনেমা।
এ বিষয়ে আমির খান বলেন, “ভারতে যে পরিমাণ মানুষ বসবাস করেন, সেখান থেকে সবসময়ই মনে হয়, আমাদের দেশে খুবই অল্প সংখ্যক সিনেমা হল রয়েছে। সব মিলিয়ে ভারতে ১০ হাজার পর্দা রয়েছে। মোট জনগণের এটি এক শতাংশ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ৪০ হাজার পর্দা রয়েছে, চীনে ৯০ হাজার। আর আমাদের ১০ হাজারের মধ্যে অর্ধেক সাউথ ইন্ডিয়ায়। আর বাকি অর্ধেক দেশের অন্যান্য স্থানে।”
প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে আমির খান বলেন, “একটি হিন্দি সিনেমার জন্য ৫ হাজার স্ক্রিন। বছরের পর বছর ধরে আমাদের সবচেয়ে হিট সিনেমাগুলো ৩ কোটি মানুষ প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে দেখেছেন; যা মোট জনসংখ্যার প্রায় ২ শতাংশ। চলচ্চিত্রপ্রেমী দেশ হিসেবে স্বীকৃত একটি রাষ্ট্রে, মাত্র ২ শতাংশ মানুষ সবচেয়ে হিট সিনেমাগুলো প্রেক্ষাগৃহে দেখে। তাহলে বাকি ৯৮ শতাংশ মানুষ সিনেমাটি কোথায় দেখছে?”
ভারতের কোনো কোনো জেলায় একটি সিনেমা হলও নাই। তা জানিয়ে আমির খান বলেন, “আমার সবসময়ই মনে হয়, ভারতে আরো প্রচুর থিয়েটার প্রয়োজন। ভারতের অনেক জেলা রয়েছে যেখানো কোনো সিনেমা হল নেই। সিঙ্গেল স্ক্রিনে একটি সিনেমা দেখারও ব্যবস্থা নেই। এই থিয়েটার সংকট অনেক বড় একটি ব্যাপার। সুতরাং গত কয়েক দশক ধরে আমরা সবচেয়ে বড় যে সংকটের মধ্য দিয়ে গিয়েছি, তা হলো থিয়েটার।”
আমির খান পরিচালিত ও অভিনীত আলোচিত সিনেমা ‘তারে জমিন পার’। ২০০৭ সালে এ সিনেমার মাধ্যমে পরিচালক হিসেবে তার অভিষেক ঘটে। মুক্তির পর সিনেমাটি বক্স অফিসে দারুণ সাড়া ফেলেছিল। এ সিনেমার সিক্যুয়েল ‘সিতারে জমিন পার’ দিয়ে অভিনয়ে ফিরেছেন আমির। অভিনয়ের পাশাপাশি এটি প্রযোজনাও করছেন। আগামী ২০ জুন সিনেমাটি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির পরিকল্পনা করেছেন নির্মাতারা।
Priyo Bangla 24 – Most Popular Bangla News The Fastest Growing Bangla News Portal Titled Priyo Bangla 24 Offers To Know Latest National And Local Stories.