সৌন্দর্য, সাহস ও সহানুভূতির এক মহোৎসবের মধ্য দিয়ে থাইল্যান্ডের ওপাল সুচাতা-কে মিস ওয়ার্ল্ড ২০২৫ ঘোষণা করা হয়েছে। ভারতের হায়দরাবাদে অনুষ্ঠিত ৭২তম মিস ওয়ার্ল্ড প্রতিযোগিতার গ্র্যান্ড ফিনালে-তে বর্তমান বিশ্বসুন্দরী ক্রিস্টিনা পিশকোভা (চেক প্রজাতন্ত্র) নতুন বিজয়ীর মাথায় মুকুট পরিয়ে দেন।
সাদা অপালের মতো কোমল ও ঝলমলে ফ্লোরাল ডিজাইনের গাউন পরে ওপাল এদিন মঞ্চে হাঁটেন। যা ছিল তার ‘Opal For HER’ অভিযানের প্রতীক।
মিস থাইল্যান্ড জানান, এই গাউন নারী শক্তি, সহানুভূতি ও আত্ম-আলোকের এক প্রতিচ্ছবি।
তার ভাষায়, ‘এ গাউনের ঝিকিমিকি সাদা কাপড় আর অপালের মতো নকশা সেই সব নারীর প্রতীক, যারা ভয়কে জয় করে আশাকে বেছে নেন। আমি যেমন আপন আলোয় ঝলমল করি, তেমনি প্রতিটি হৃদয় সহানুভূতির ঢেউ তুলতে পারে।
মিস ওয়ার্ল্ড-২০২৫ নির্বাচিত হওয়ার পর এক ইনস্টাগ্রাম পোস্টে এ কথা লেখেন ওপাল।
১০৮ জন প্রতিযোগীকে পেছনে ফেলে ২১ বছর বয়সি সুন্দরী ওপালের বিজয় অর্জনের রাতটি (১ জুন) ছিল থাইল্যান্ডের জন্য একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত।
তবে ভারতের জন্য ছিল কিছুটা হতাশাজনক রাত। দেশটির প্রতিনিধিত্ব করা নন্দিনী গুপ্তা যদিও শুরুতে শীর্ষ ৪০-এ জায়গা করে নিয়েছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত শীর্ষ ৮-এ পৌঁছাতে ব্যর্থ হন।
এ নিয়ে ভারত টানা দ্বিতীয়বারের মতো মিস ওয়ার্ল্ড প্রতিযোগিতার আয়োজন করলো। গত বছর মুম্বাইয়ে অনুষ্ঠিত ৭১তম আসরে চেক রিপাবলিকের ক্রিস্টিনা পিশকোভা বিজয়ী হয়েছিলেন। এবার হায়দ্রাবাদে সেই মুকুট হস্তান্তর হলো থাইল্যান্ডের ওপাল সুচাতার মাথায়।
ওপালের এই জয় শুধু সৌন্দর্যের প্রতিযোগিতা নয়। এটি একজন নারীর সংগ্রাম, আশা এবং ক্ষমতায়নের প্রতীক হয়ে উঠেছে। বিশ্বের নানা প্রান্তের নারীশক্তির জন্য এক অনুপ্রেরণার নাম।
এদিকে, এ পর্যন্ত ভারতের ৬ জন প্রতিযোগী এ খেতাব জিতেছেন। যার মধ্যে রয়েছেন রিতা ফারিয়া (১৯৬৬), ঐশ্বরিয়া রাই (১৯৯৪), ডায়ানা হেইডেন (১৯৯৭), যুক্তা মুখি (১৯৯৯), প্রিয়াঙ্কা চোপড়া (২০০০) এবং মানুশি চিল্লার (২০১৭)।
তথ্যসূত্র: সিএনএন ও এনডিটিভি
Priyo Bangla 24 – Most Popular Bangla News The Fastest Growing Bangla News Portal Titled Priyo Bangla 24 Offers To Know Latest National And Local Stories.