মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘পুতুলনাচের ইতিকথা’ উপন্যাস নিয়ে সিনেমা নির্মাণ করেছেন কলকাতার পরিচালক সুমন মুখার্জি। এ উপন্যাসের ‘কুসুম’ চরিত্রটি জীবনীশক্তিতে ভরপুর, অদম্য এবং জীবনরহস্যে ভরা। আর এই ‘কুসুম’ চরিত্রে অভিনয় করেছেন জয়া আহসান।
‘পুতুল নাচের ইতিকথা’ সিনেমার শুটিং অনেক আগে শেষ হয়েছে। নানা জটিলতায় আটকে ছিল। আগামী ১ আগস্ট পর্দায় মুক্তি পাবে সিনেমাটি। নির্মাণের পর দীর্ঘ সময় কেটে গেলেও সিনেমার গল্প সমসাময়িক। সেই সময়ের সামাজিক-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট আর এখনকার সময়ের মাঝে খুব বেশি পার্থক্য খুঁজে পান না পরিচালক। ঠিক যেমন পর্দার ‘কুসুম’ আর বাস্তবের জয়া আহসানের মধ্যে তেমন কোনো ফারাক নেই বলে মন্তব্য তার।
এ বিষয়ে ‘কুসুম’ চরিত্র নিয়ে জয়া আহসানের কী মত? তার ভাষায়, “বরাবর নারীকেই কামনা-বাসনার বস্তু হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। কুসুমেরও কামনা-বাসনা রয়েছে, যা সে লুকোয় না। কুসুম একটা খোলা বইয়ের মতো। কুসুমের মন, শরীর ও আত্মা সব একরকম। এখানেই শশীর সঙ্গে তার পার্থক্য। কুসুম কিন্তু শশীর চরিত্রকে চ্যালেঞ্জ করার ক্ষমতা রাখে। সে এতটাই খোলা মনের, সতেজ একটি চরিত্র।”
জয়া কি কুসুমের মতো হয়ে উঠতে পারবেন? এ প্রশ্নের জবাবে জয়া আহসান বলেন, “কুসুমের মধ্যে কোনো জড়তা নেই। আমাদের সকলের মধ্যে একটা লক্ষ্মণরেখা থাকে। এটা কুসুমের মধ্যে নেই বলেই সে এত আধুনিক। আমি নিজেও কুসুমের মতো হতে পারব না। এই গ্রামবাংলার বাউলদের কথাই যদি বলা যায়, তাদের দেহ, মন, আত্মা সব মিলেমিশে একাকার। যাহা ভাঙে, তাহাই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে।”
এ সিনেমার নায়ক শশী। এ চরিত্র রূপায়ন করেছেন আবির চ্যাটার্জি। এর আগে ‘বিসর্জন’ সিনেমায় জুটি বেঁধে অভিনয় করেছেন তারা। কৌশিক গাঙ্গুলি নির্মিত ‘বিসর্জন’ সিনেমার মতো এতেও জয়ার পরনে তাঁতের লাল পাড়, ডুরে শাড়ি, কপালজোড়া অল্প ধেবড়ে যাওয়া সিঁদুরের টিপ। আর তার বিপরীতে আবির চ্যাটার্জি।