বিয়ের পর আমার সবকিছু বদলে গেল

বলিউড অভিনেতা ধর্মেন্দ্র ও হেমা মালিনীর বড় মেয়ে অভিনেত্রী এষা দেওল গত কয়েক মাস ধরে তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে নেটিজেনদের মাঝে আলোচনায় রয়েছেন। দীর্ঘ ১২ বছরের সম্পর্কের পর ২০২৪ সালে স্বামী ও ব্যবসায়ী ভরত তখতানির থেকে আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন অভিনেত্রী। পরে এষার সঙ্গে ডিভোর্সের পর বছর না ঘুরতেই নতুন প্রেমে সিলমোহর দেন ভরত তখতানি। উদ্যোক্তা মেঘনা লাখানির সঙ্গে প্রেম করছেন এ ব্যবসায়ী।

এর আগে ২০১২ সালে বিয়ে করেন এষা ও ভরত তখতানি। হেমাকন্যা বেড়ে উঠেছিলেন শোবিজ জগতের চাকচিক্যের মধ্যে। কিন্তু বিয়ের পর এষা যখন শ্বশুরবাড়িতে পৌঁছান, তখন নতুন জীবনে পদার্পণে বড় একটা ধাক্কালাগার মতো ছিল। তিনি তার পছন্দের ছোট পোশাক পরতে পারতেন না। আর সেসব ঘটনাই এষা দেওল তার বই ‘আম্মা মিয়া’তে উল্লেখ করেছেন, যা ২০২০ সালে প্রকাশিত হয়েছিল।

সেখানে এষা লিখেছেন, যখন তিনি ভরতের যৌথ পারিবারিক বাড়িতে থাকতে শুরু করেন, তখন তাকে প্রথম যে কাজটি করতে হয়েছিল তা হলো তার পোশাক পরিবর্তন করা। অভিনেত্রী আরও লিখেছেন—২০১২ সালে বিয়ের পর যখন আমি শ্বশুরবাড়ি গেলাম, তখন সবকিছু বদলে গেল। আগের মতো হাফপ্যান্ট আর গেঞ্জি পরে বাড়িতে ঘুরে বেড়াতে পারতাম না।

তবে পোশাকের স্বাধীনতা না থাকা সত্ত্বেও এষা স্বীকার করেছেন যে, তার শ্বশুরবাড়ির লোকেরা খুব স্নেহময় ছিল এবং পরিবারে তাকে অনেক স্নেহ আর ভালোবাসা দিয়েছিল সবাই। তখতানি পরিবারের নারীরা তাদের স্বামীদের জন্য পছন্দের রান্না করত, যদিও ভরতের সঙ্গে দেখা না হওয়া পর্যন্ত এষা রান্নাঘরের ধারেও ঘেঁষতেন না। তিনি মজা করে বলেন— তার শ্বশুরবাড়ির নারীরা ‘রান্নাঘরের রানি’।

শাশুড়ির প্রশংসা করে অভিনেত্রী লিখেছেন—পুত্রবধূ হওয়ার নামে আমাকে কখনো রান্নাঘরে যেতে বা প্রচলিত কাজ করতে বাধ্য করা হয়নি। আমার শাশুড়ি আমাকে তার তৃতীয় ছেলের মতো আদরে আগলে রেখেছেন। চকোলেট ব্রাউনি এবং ফল আমাকে প্রায়শই পাঠানো হতো। প্রথম বউমা হওয়ায় অনেক আদরে খানিক বাঁদর হয়ে গিয়েছিলাম।

উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ২৯ জুন মুম্বাইয়ের ইসকন মন্দিরে একটি সাদামাটা বিয়ের অনুষ্ঠানে ভরতের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন এষা। ২০১৭ সালে তাদের মেয়ে রাধ্যার জন্ম হয়। দুই বছর পর এই সাবেক দম্পতির দ্বিতীয় কন্যা মিরায়ার জন্ম হয়। ডিভোর্সের পর মায়ের সঙ্গেই থাকে দুই মেয়ে।