অসম বিয়ে : ভাঙা সংসার জোড়া লাগল সুদীপ-পৃথার

ভারতীয় বাংলা সিনেমার অভিনেতা সুদীপ মুখার্জি। ৫৭ বছর বয়সি এই অভিনেতা হাঁটুর বয়সি নায়িকা পৃথা চক্রবর্তীর সঙ্গে ঘর বাঁধেন। এ নিয়ে জলঘোলা কম হয়নি। কিন্তু ব্যক্তিগত জীবনে এই দম্পতি খুব ভালো সময় পার করছিলেন। হঠাৎ তাদের দাম্পত্য জীবনে ছন্দপতন ঘটে। ৬ মাস আগে সংসার ভাঙার ঘোষণা দেন পৃথা।

সোশ্যাল মিডিয়ায় দেওয়া এক পোস্টে বিবাহবিচ্ছেদের ঘোষণা দেন পৃথা। এ অভিনেত্রী লেখেন, “আমি আর সুদীপ আর দম্পতি নেই। আনুষ্ঠানিকভাবে আমাদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে। আমরা আজীবন বন্ধু হয়ে থাকব।”

পৃথা এ ঘোষণা দেওয়ার পর নানা গল্প রচিত হয়েছে। টালমাটাল সময় কাটিয়েছেন এই যুগল। সুদীপ মুখার্জি এবার জানালেন, তাদের ভাঙা সংসার জোড়া লেগেছে। দুই ছেলের কথা ভেবে নতুন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

এ প্রসঙ্গে ভারতীয় একটি গণমাধ্যমে সুদীপ মুখার্জি বলেন, “কোন সম্পর্কে মতবিরোধ হয় না, একটু বলবেন? আমরা সবাই স্বতন্ত্র মানুষ। সুতরাং নিজস্ব ভাবনা-চিন্তা, মতামত তো থাকবেই। তবে হ্যাঁ, এখন আমরা একসঙ্গে থাকছি।”

সুদীপ-পৃথা দম্পতির দুই পুত্রসন্তান রয়েছে। তাদের বয়সও কম। এ দম্পতি চান না তাদের সন্তানদের উপর কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়ুক। সুদীপ মুখার্জি বলেন, “ওরা সত্যি আমাকে ‘সুপারহিরো’ ভাবে। আমার ছবি বা ধারাবাহিক দেখার মতো বয়েসে ওরা পৌঁছায়নি। তবে ওরা ভাবে, বাবা সব পারে। দুই ছেলেকে শান্তিপূর্ণ শৈশব, উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ দেওয়ার জন্যই আবার আমরা একসঙ্গে।”

এ বিষয়ে পৃথার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে দুর্গাপূজার আনন্দ স্বামী-সন্তানদের সঙ্গে উপভোগ করেন পৃথা। আর সেসব মুহূর্ত সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাগ করে নেন। ফলে নেটিজনদের কটাক্ষের শিকার হন। অনেকে প্রশ্ন তুলেন—বিচ্ছেদের পরও শাঁখা-পলা কেন পরেছেন? এ প্রশ্নের উত্তরে পৃথা বলেছিলেন, “শাঁখা-পলা পরা আমার ইচ্ছে। আমরা এখনো বালি ও ঋদ্ধির বাবা আর মা, আর সেটা চিরকালের জন্য। সে (সুদীপ) আর আমি আবার বিয়ে করি, কি না করি, প্রতি বছর মায়ের বরণ করবই আর শাঁখা-পলা, সিঁদুর, নোয়া সব পরব…।”

সুদীপ মুখার্জি প্রথম সংসার বাঁধেন অভিনেত্রী দামিনি বেণী বসুর সঙ্গে। এ সংসার ভাঙার পর পৃথার সঙ্গে ঘর বাঁধেন। কিন্তু এই জার্নি সহজ ছিল না। আপত্তি জানিয়েছিলেন পৃথার বাবা-মা। কারণ পৃথার এটি প্রথম বিয়ে।

তাছাড়া সুদীপ মুখার্জি ও পৃথার বয়সের পার্থক্য ২৪ বছরের। তাই অসম এই বিয়ে নিয়ে নানাজন নানা মন্তব্যও করেছিলেন। অনেকে প্রশ্ন তুলেছিলেন—সুদীপের টাকা দেখে বিয়ে করেছেন পৃথা। এ বিষয়ে পৃথা বলেছিলেন—“কোনো অল্প বয়সি পুরুষের মধ্যে মনের মানুষকে খুঁজে পাইনি। আর সুদীপের টাকা থাকলেও, আমি টাকার জন্য ওকে বিয়ে করিনি।”