‘এটাই ফারিয়ার আসল রূপ, দেশে থাকলে শুধু ভণ্ডামি করে’

প্রথম স্বামীর সঙ্গে ডিভোর্সের প্রায় পাঁচ বছর পর বিয়ে করেন আলোচিত মডেল ও অভিনয়শিল্পী শবনম ফারিয়া। গত ১৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার অদূরে মাদানী অ্যাভিনিউয়ে মসজিদ আল মুস্তাফায় খেজুর ছিটিয়ে এবং নিকট আত্মীয় ও ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের উপস্থিতিতে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। তার স্বামী তানজিম তৈয়ব দেশের একটি শীর্ষস্থানীয় বেসরকারি ব্যাংকে অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে কর্মরত।

বিয়ের পর এ মাসের শুরুতে শ্রীলঙ্কা ও মালদ্বীপে হানিমুনে গেছেন তারা। সেখান থেকেই ঘুরে বেড়ানোর বিভিন্ন ছবি ফেসবুকে পোস্ট করছেন শবনম ফারিয়া।তবে পোস্ট করা সব ছবিই অভিনেত্রীর নিজের।

স্বামীর সঙ্গে প্রথমবার ঘুরতে গেলেও দুজনের একসঙ্গে তোলা কোনো ছবি এখনো সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেননি অভিনেত্রী।

এরই মধ্যে গত মঙ্গলবার শ্রীলঙ্কার গালে শহর থেকে ‘হ্যাফপ্যান্ট’ পরা একটি ছবি ফেসবুকে পোস্ট করেন শবনম ফারিয়া।ছবিটি পোস্ট করার সঙ্গে সঙ্গে অভিনেত্রীকে নিয়ে সমালোচনা ঝড় শুরু হয়।

সমালোচনাকারীরা বলছেন, শবনম ফারিয়া খেজুর দিয়ে মসজিদে বিয়ে করে নিজের ধর্মীয় অনুভূতি প্রকাশ করেছিলেন।কিন্তু বিয়ের পর হানিমুনে গিয়ে হাফপ্যান্ট পরা ছবি জনসম্মুখে প্রকাশ করে নিজের সম্পর্কে উলটো বার্তাই দিলেন।

অনেকেই বলছেন, মসজিদের বিয়ে করা করা ছিল তার নাটক। হাফপ্যান্ট পরা ছবিই তার আসল রূপ। কেউ কেউ বলছেন, শবনম ফারিয়াকে তোমারে শাড়িতে মানায়, মুসলিম নারী হয়ে তার হাফপ্যান্ট পরা ঠিক হয়নি। অভিনেত্রীর এমন ছবি দেখে ভক্তদের অনেকেই আঘাত পেয়ে তাকে বয়কটের ডাক দিয়েছেন।কেউ কেউ তাকে ‘ভিউ ব্যবসায়ী’ বলে কটাক্ষ করেছেন।

দীপ্ত ফয়সাল ভুইয়া বলেছেন, বুঝলাম না, ফারিয়া বিয়ে করল মসজিদে, হাফপ্যান্ট পরল শ্রীলঙ্কায়? তুমি আমার পছন্দেরই একজন, এভাবে আঘাত কেন দিলে? নাজিম উদ্দিন মারুফ লিখেছেন, বিয়ে করছে মসজিদে, তার এই অবস্থা!

খলিলুর রহমান নামে একজন লিখেছেন, বিদেশে গেলেই কাপড়ের অভাব হয়। নুর বাসেদ লিখেছেন, খেজুর দিয়ে বিয়ে পড়ানোর নমুনা!

ফাহিম মিয়া বলেন, এটাই ফারিয়ার আসল রূপ, দেশে থাকলে শুধু ভণ্ডামি করে। জারা তাবাসসুম লিখেছেন, এটাই হলো আন্টির আসল চরিত্র।

শামীম আল মামুন লিখেছেন, বিবাহ পরবর্তী এরকম পরিবর্তন কখনো আশা করি নাই, আপা।আরিফ খান লিখেছেন, আপনার থেকে এ ধরনের পোশাক আশা করি নাই। সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, এই নারীরে একটু হলেও শালীন ভাবছিলাম। কথা হলো- অভিনয় করলেই কি হাফপ্যান্ট পরে ছবি দিতে হবে? দুঃখের বিষয় হলো- এক সপ্তাহ আগে বিয়ে করছে মসজিদে, আর এখন ঘুরে হাফপ্যান্ট পরে!

হোসাইন রাজু লিখেছেন, মসজিদে বিয়ে করে নাটক করা শেষ। এখন অরিজিন রূপ দেখাচ্ছে। সাইদুর রহমান বলেন, মসজিদে বিয়ে করে হাফপ্যান্ট পরে হানিমুনে উত্তাপ ছড়াচ্ছে শবনম ফারিয়া!

আবুল বাশার পলাশ লিখেছেন, খেজুর দিয়ে মসজিদে বিয়ে করে এখন এই সমস্ত ড্রেস মানে রীতিমতো শয়তানি আর কি! আল মাহমুদ লিখেছেন, খেজুর দিয়ে বিয়ে করে হাফপ্যান্ট পড়ে দেশ ভ্রমণ! শয়তানও এদের শয়তানির কাছে হার মানবে। রাজু চৌধুরী লেখেন, ‌তোকে নিয়ে গর্ব করতাম, আজ থেকে বয়কট।

শরীফ হাসান লিখেছেন, আপনাকে এ অবস্থা দেখবো আমি কল্পনাও করতে পারি নাই। সাব্বির আহমেদ লিখেছেন, মসজিদে বিয়ের ছবি আপলোড দিয়ে আবার হাফপ্যান্ট টি-শার্ট পরে ছবি পোস্ট করা- ব্যাপারটা কেমন হয়ে গেল না, আপু!

ফরহাদ হোসেন মিলন নামে একজন লিখেছেন, আপনি তো মুসলিম নামে কলঙ্ক নারী। আমি ভাবলাম হয়তো এবার ভালো হয়ে যাবেন, মসজিদে বিয়ে করেছেন। কিন্তু দেখি আগে যেমন ছিলেন ঠিক সেরকম হয়ে আছেন। মসজিদে বিয়ে করে ঢং দেখাইলেন কেন আপু। আপনি আমার একজন প্রিয় অভিনেত্রীর মধ্যে ছিলেন, এখন আর প্রিয় থাকলেন না।

জান্নাতুল নাঈম লিখেছেন, মতলবের নারী মসজিদে বিয়ে করে ধর্মকে অপব্যবহার করেন, এখন হাফপ্যান্ট পরে ছবি দেন।

ফয়েজ আহমেদ বলেন, মসজিদে বিয়ে করে হাফপ্যান্ট পরে পিক আপলোড দিয়ে কী বুঝাইতে চাইলা, ‘যে আমরা যতই ভালো সাজার অভিনয় করি না কেন দিন শেষে এটাই আমাদের আসল রূপ…’।

রানা আমিন বলেন, মসজিদে খেজুর বিলিয়ে বিয়ে, বিদেশে হানিমুনে গিয়ে হাফপ্যান্ট বাহ!

এর আগে শবনম ফারিয়া ২০১৮ সালে ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন হারুনুর রশীদ অপুকে। প্রথম স্বামী তখন একটি বেসরকারি বিপণন সংস্থার জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। বিয়ের ঠিক এক বছর ৯ মাসের মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটে শবনম ফারিয়ার। অপুকে ২০২০ সালের ২৭ নভেম্বর ডিভোর্স দেন তিনি।