‘অরিজিৎ সিং’, নামটা শুনলেই কেমন একটা শ্রদ্ধা জাগে না মনে? টলিউড থেকে বলিউড গোটা ভারতের অন্যতম বড়ো মেলোডি কিং তিনি। সঙ্গীত জগতে তার জনপ্রিয়তা আজ আকাশছোঁয়া। মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জের এই ছেলের গানেই আজ মোহিত আসমুদ্রহিমাচল। কিন্তু এই জায়গায় থেকেও অহঙ্কারের ছিটেফোঁটাও নেই তার মধ্যে।
বাংলার একটা ছোট শহর থেকে বেরিয়ে টলিউড তথা বলিউডে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করাটা খুব একটা সহজ ছিল না যদিও। অবশ্য আজ তো গোটা বিশ্বজুড়ে তারই জয়জয়কার। আরব সাগরের তীরে পাকা বাসস্থান থাকলেও মনেপ্রাণে তিনি আজও বাঙালিই। মনপ্রাণ আজও এখানেই পড়ে থাকে।
কখনও স্কুটি নিয়ে বেরিয়ে পড়েন তো আবার কখনও স্কুলের গেটে বাকিদের সঙ্গে লাইন দিয়ে ছেলের জন্য ফর্ম তোলেন। সেলিব্রেটির ছাপ তো দূরে থাক বরং গ্রামবাসী তাকে একজন সাধারণ মানুষের মতো করেই পায়। পোশাক আশাকে না কোনো বিলসিতার ছাপ আর না কোনো আড়ম্বর। সবে মিলিয়ে এ যেন মায়ানগরীর কোনো তারকা নয়, আমাদেরই পাশের বাড়ির ছেলে।
তবে শুধুই তার সারল্যই মন কাড়েনি মানুষের। মন কেড়েছি তার জনদরদী কাজকর্মও। কখনও গ্রামের গরিব বাচ্চাদের বিনা খরচে কোচিং দেওয়ার ব্যবস্থা করেন তো কখনও তাদের জন্য স্কুলের ব্যবস্থা। এরমধ্যেই আবারও এমন এক উদ্যোগ নিলেন তিনি যাতে শোরগোল পড়ে গিয়েছে গোটা বাঙলায়।
আসলে গায়কের বাবা জিয়াগঞ্জে ‘হেঁশেল’ নামে একটি হোটেল চালাতেন। পরবর্তীকালে সেই হোটেল চালানোর দায়িত্ব নিয়েছেন অরিজিৎ। আর এই হোটেলটিকেই সুন্দর করে ডেকোরেট করে সাজিয়ে তুলেছেন তিনি। আর এটা গোটাটাই কিন্তু তার গ্রামবাসীর জন্য।
মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, গ্রামের মানুষের জন্য হোটেলের ভিতরটি সুন্দরভাবে সাজিয়ে তুলেছেন। এখানে মাত্র ৩০ টাকার বিনিময়ে সুস্বাদু খাবারের ব্যবস্থা রয়েছে। রয়েছে ভাতের থালি, চিকেন, মাটন, পনিরের নানা পদ। পাশাপাশি এখানে পাওয়া যায় রয়েছে তন্দুরি, টিক্কা ও কাবাবও। শিল্পীর এই উদ্যোগে মুগ্ধ সবাই।