গ্রীষ্মকালীন ফলের মধ্যে সবথেকে জনপ্রিয় হল আম। স্বাদের জন্য আমকে ফলের রাজাও বলা হয়ে থাকে। তবে শুধুমাত্র ফল নয় আম্রপল্লব বা আমের পাতাও বাঙালিদের অনেক ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানে ব্যবহৃত হয়। অনেকের বাড়িতেই উঠোনের উপরে আম গাছ দেখতে পাওয়া যায়। তবে বড় জায়গার পরিবর্তে ছোট টবের মধ্যেও আম গাছ হতে পারে।
মায়ানমার, বাংলাদেশ এবং ভারতের উত্তরপূর্ব এলাকায় প্রাচীনকাল থেকে এই রসালো মিষ্টি ফলটির চাষ হয়ে আসছে। বর্তমানে ভারতে কয়েক’শ প্রজাতির আম চাষ করা হয়। হিমসাগর, আম্রপালি, ল্যাংড়া, হাড়িভাঙ্গা, গোপালভোগের মতো বেশ কিছু জাতের আম দেশে বিদেশে খুব জনপ্রিয়। আমের অনেক পুষ্টিগুণও রয়েছে। আমের মধ্যে উপস্থিত পটাসিয়ামের কারণে শরীরের রক্ত স্বল্পতা দূর হয় এবং হার্ট সুস্থ থাকে। হাড়ের সমস্যা সমাধানেও আম বেশ কার্যকরী। তবে শুধুমাত্র ফল নয়, আম পাতারও রয়েছে অনেক গুণ। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ থেকে শুরু করে ডায়াবেটিস নিরাময় সবেতেই আম পাতা খুব উপকারী।
আম গাছ চাষের জন্য প্রথমেই প্রয়োজন উন্নতমানের মাটি এবং ভাল বীজ। তবে বীজের পরিবর্তে আমের পাতা থেকেও আম গাছ ফলানো সম্ভব। প্রথমে কয়েকটি আমের পাতাকে বোঁটা সহ আলাদা করে রাখতে হবে।
এইবার একটি ছিদ্রযুক্ত টব নিতে হবে। তবে মধ্যে দিতে হবে মার্বেলের ছোট একটি টুকরো। এই আমগাছ চাষের জন্য দোআঁশ কিংবা অন্য মাটির পরিবর্তে ব্যবহার করতে হবে সমুদ্র পাড়ের নোনা মাটি। এই মাটি দিয়ে সমস্ত টবটিকে ভাল করে ভর্তি করে দিতে হবে।
মাটি দিয়ে টব ভর্তি করে দেওয়ার পরে আমের পাতাগুলিকে মাটির মধ্যে ভাল করে পুঁতে দিয়ে জল দিতে হবে। জল দেওয়ার পরে টবটিকে রৌদ্রযুক্ত কোনো জায়গায় রাখার পরিবর্তে ছায়াযুক্ত জায়গায় রাখতে হবে। এরপরে অন্য একটি পাত্র দিয়ে টবটিকে ভাল করে ঢেকে দিতে হবে। ৪০ দিন পরে টবের মধ্যে আমের ছোট ছোট চারা দেখতে পাওয়া যাবে। এমনকি পাতাগুলি থেকেও শিকড় গজিয়ে যাবে এই সময়ের মধ্যে। এই পাতাগুলিকে সাবধানে টব থেকে তুলে নিতে হবে। অন্য একটি টবের মধ্যে দিতে হবে চা পাতার গুঁড়ো। এইবার এই টবের মধ্যে ওই শিকড়যুক্ত আমপাতাগুলিকে আবার ভাল করে পুঁতে দিতে হবে। জল দিয়ে ভাল করে ভিজিয়ে দিতে হবে চা পাতার গুঁড়োকে। এইভাবে কিছুদিন রেখে দিলে আমপাতা থেকে আমগাছ হবে টবের মধ্যেই।
Disclaimer : কৃষি বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ এবং মতামত অনুযায়ী প্রতিবেদনটি লিখিত। প্রয়োগ বিশেষে ফলাফল আলাদা হতে পারে। হান্টি এই তথ্যের সত্যতা বিচার করেনি। এক্ষেত্রে প্রয়োগের পূর্বে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ আবশ্যক।