সাম্প্রতিক সময়ে বাংলা গানের যুবরাজ আসিফ আকবরের বড় ছেলে শাফকাত আসিফ রণ বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। কনে ইসমত শেহরীন ঈশিতা। সেখানে দুই পরিবারের লোকজন ছাড়াও শোবিজের অনেক তারকা হাজির হয়েছিলেন। ছেলেকে বিয়ে দিতে পেরে নিজেকে অনেক সুখি ভাবছেন এই শিল্পী।
নিজের অফিসিয়াল ফেজবুক আইডিতে পোস্ট করে সে কথা জানান আসিফ আকবর। তার পোস্টটি হুবহু ডেইলি বাংলাদের পাঠকদের সামনে তুলে ধরা হলো- আমি বিয়ে করেছি উনিশ বছর তিন মাস বয়সে। বলা যায় বেগমের ভালবাসার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতেই সেই প্রেশার কুকার গিলে ফেলা। জীবনের বাঁকে বাঁকে ঠোক্কর খেয়েও আমাদের সংসার টিকে আছে এবং কলেবর বাড়ছেই- আলহামদুলিল্লাহ।
আমার দুই ছেলের বয়স বাইশ হওয়া মাত্রই তাদের পিছনে আঠার মত লেগে আছি বিয়ে করানোর জন্য। তাই রণ’র সম্মতি পাওয়া মাত্রই আর কালক্ষেপন করিনি। ছাব্বিশ বছরে আমাদের রণ এখন গর্বিত বিবাহিত পুরুষ।
তিনি আরও লিখেন, জীবনকে খুব কাছে থেকে নিরীক্ষণ করার সৌভাগ্য হয়েছে আমার। পড়াশোনা শেষ, তারপর চাকরী পেলে ছেলের বিয়ে দেয়া মার্কা ফর্মূলায় আমি নেই। গ্র্যাজুয়েশনের পরপরই বিয়ে দেয়াটা আমার কাছে যৌক্তিক মনে হয়। এর একটু আগেও হতে পারে, তবে কোনভাবেই ছাব্বিশের পরে যাওয়া উচিত না। নতুন মুখ এলে এমনিতেই পরিবারে আনন্দ আসে, একঘেয়েমী কেটে যায়। ছেলে প্রতিষ্ঠিত হলে নিজের জায়গায় চলে যাবে, তার আগেই জীবনের যতটুকু নির্যাস নেয়া যায় সেটাই আনন্দ। দায়িত্বশীলতা আসে সন্তানের চিন্তাজগতে। পরিবার থেকে পাওয়া সহযোগীতাগুলো সে মনে রাখে, নিজের ব্যস্ত সময়ের মধ্যেও পরিবারের সদস্যদের আগলে রাখার চেষ্টা করে।
বাংলা গানের যুবরাজ লেখেন, সন্তানকে পারফেক্ট সময়ে বিয়ে করানো অভিভাবকদের দায়িত্ব। অজুহাত বাদ দিয়ে সাহস করে এগিয়ে এলে উপায়ও বেরিয়ে আসবে। যে ঝুঁকি নেয়না তার সুখী হওয়ারও কোন কারন থাকা উচিত নয়। জীবনটা উপভোগের, ক্যালকুলেটর নয়। সংসারে বউ আসলে সময়গুলো রঙ্গীন হয়, মানিয়ে নেয়ার জন্য সময় পাওয়া যায়। আমি বাল্যবিয়ে করলেও রণ’র বিয়ে পারফেক্ট সময়েই হয়েছে, আর দুটো বছর আগে হলে আরো ভাল হতো।
সন্তানদের ঘরমুখী এবং পরিবারের প্রতি দায়িত্বশীল হিসেবে তৈরী করতে সঠিক সময়ে বিয়ে করানো আমার কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সন্তানের বিয়ে নিয়ে এখনো ইতস্ততবোধে আছেন যারা, তারা দ্রুত সিদ্ধান্ত নিন। আমি একজন সফল সংসারী মানুষ, সেই এঙ্গেল থেকে ফ্রি টিপস দিলাম। স্মার্ট গার্ডিয়ান হউন, সঠিক কাজটি করুন।
ভালবাসা অবিরাম।