নারী-পুরুষের সামাজিক ও ধর্মীয় বন্ধনের অন্যতম মাধ্যম হলো বিয়ে। এই বিয়ের ক্ষেত্রে পাত্র-পাত্রী নির্বাচনের সময় নানান ঝক্কি-ঝামেলা পোহাতে হয়। ধনী, গরিব, শিক্ষিত-উচ্চ শিক্ষিত, খাটো-লম্বা, ফর্সা-কালো নানান বাছাই প্রক্রিয়া রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম বাছাই প্রক্রিয়া ধনী-গরিব নির্বাচন।
পুরুষের জন্য ধনী-গরিব বাছাই খুব বেশি প্রয়োজন না হলেও নারীদের ক্ষেত্রে বড্ড প্রয়োজন পড়ে। পুরুষতান্ত্রিক সমাজে পুরুষের আয় থাকাটা বড্ড বেশি প্রয়োজনও বটে। কিন্তু পাত্রী বাছাইয়েও বর্তমানে ওই মেয়ে ধনী না গরিব পরিবারের সেই বিষয়ে নজর দিচ্ছে কেউ কেউ।
আসুন বিয়ের ক্ষেত্রে ধনী পরিবারের মেয়ে বিয়ে করলে কি সমস্যায় পড়তে পারেন, তা নিয়ে একটু দেখা যাক-
> রুচির অমিল: রুচি গত অমিলের ফলে সর্বদা খিটিমিটি লেগে থাকবে। যেমন স্ত্রী তার বার্থডে পার্টি সোনারগাঁ হোটেলে করতে চাইবেন কিন্তু আপনার কাছে তা অর্থের অপচয় মনে হবে।
> দারিদ্রতার খোঁটা: তিনি ঈদের ছুটিতে বিদেশে বেড়ানো আর শপিং এ যেতে চাইবেন আর আপনি গ্রামে বাবা মার কাছে যেতে চাইবেন যেখানে এসি নেই, উন্নত বাথরুম নেই, সর্বদা দরিদ্র লোকের আনা গোনা। আর দরিদ্রদের অদ্ভুত ধাঁচের দারিদ্রতা পূর্ণ কথাবার্তা যা তাকে ক্রমাগত আহত করবে এবং স্ত্রী আপনার সাথে বসবাসের বিষয়ে আগ্রহ হারাতে থাকবেন।
> সাংঘর্ষিক জীবনযাত্রা: আপনি বড় লোকদের জীবন যাত্রা আর তাদের চিন্তা ভাবনার ধরনের সাথে নিজেকে মেলাতে পারবেন না ফলে সর্বদা কষ্ট পেতে থাকবেন।
> আত্মীয়তার সম্পর্কে অনীহা: আপনার আত্নীয় স্বজনরা আপনার বড় লোক স্ত্রী আর স্ত্রীর আত্নীয়দের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করতে ব্যর্থ হবেন যা আপনার ভালো লাগবে না।
> তাচ্ছিল্যের শিকার: বড় লোকের মেয়ের বিপুল পোশাক আশাক পার্লার খরচ কসমেটিকসের যোগান দেয়া আপনার জন্য সম্ভব হবে না ফলে আপনি তুচ্ছ তাচ্ছিল্যের শিকার হবেন।
সব মিলয়ে ধনী পরিবারের মেয়ের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া একটা পুরুষের জন্য কখনো কখনো কষ্টসাধ্য হয়ে ওঠে। মূলত আপনি বড় লোকের মেয়ে স্ত্রীর সাথে তাল মেলাতে না পেরে সুখ হারিয়ে ফেলবেন।