চলচ্চিত্রের বরেণ্য অভিনেতা প্রবীর মিত্র। একসময় চলচ্চিত্রাঙ্গন দাঁপিয়ে বেড়ালেও এখন আর তাকে চলচ্চিত্রের পর্দায় দেখা যায় না। বয়সজনিত কারণে দীর্ঘদিন অভিনয়ের বাইরে আছেন। শরীরে বাসা বেঁধেছে নানা রোগ।
জীবনের অধিকাংশ সময় চলচ্চিত্রের পেছনে ব্যয় করলেও শেষ বয়সে এসে নিষ্ঠুর বাস্তবতার মুখোমুখি প্রবীর মিত্র। একটা সময় যখন অভিনয়ে ব্যস্ত ছিলেন তখন চারপাশ জুড়ে অনেক মানুষ থাকলেও এখন সঙ্গ দেয়ার মতোও কেউ নেই। চলচ্চিত্রের চেনা মানুষগুলো যেন খুব অচেনা।
বর্তমানে তার সময় কাটে বাসার মধ্যে। বাসার বাইরে খুব একটা বের হন না। মাঝে মাঝে ফিজিওথেরাপি দিতে বাইরে যেতে হয়। এছাড়া পুরোটা সময় ঘরের ভেতরে সময় কাটে তার।
প্রবীর মিত্রের পুত্রবধূ সোনিয়া সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘বাবা আগের চেয়ে কিছুটা ভালো আছেন। তবে, এখনো হাঁটাচলা করতে পারেন না। নাতি ঈশানের সঙ্গে গল্প করেন, সময় কাটাতে পছন্দ করেন। তখন মনে হয় বাবা যেন বাবা ছেলেবেলায় ফিরে গেছেন। আগে বই পড়তেন। এখন বয়সের ভারে পড়তে পারেন না। পত্রিকায় চোখ বুলিয়ে নেন কিছুটা।’
তিনি আরও বলেন, ‘ক্রিকেট খেলা বাবার ভীষণ প্রিয়। ক্রিকেট খেলা দেখে সময় কাটান। খেলা শুরু হলে বাবার মন ভালো থাকে।’
ঢাকাই সিনেমার একসময়ের ব্যস্ত ও গুণী এই অভিনেতা দীর্ঘ ক্যারিয়ারে চার শতাধিক সিনেমায় অভিনয় করেছেন। পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার এবং আজীবন সম্মাননা ফিল্মম্যানখ্যাত অভিনেতা প্রবীর মিত্র একসময় ক্রিকেট খেলতেন ঢাকার প্রথম বিভাগে। এছাড়া হকিও খেলতেন তিনি। খেলা ও অভিনয় তাকে নেশার মতো পেয়ে বসে স্কুলজীবনে। স্কুলে পড়ার সময়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ডাকঘর নাটকে প্রথম অভিনয় করেন।