বিয়ে কিংবা যেকোনো উৎসবে ইংল্যান্ডের উত্তর নরফোক গ্রামের অক্সনিড হলে আনন্দ উদযাপনের জন্য আসে সাধারণ মানুষ। লম্বা ছুটি কাটানোর জন্যও গ্রামটির জুড়ি নেই। কিন্তু গ্রামবাসী বিরক্ত হয়ে সম্প্রতি গ্রামজুড়ে পোস্টার এবং সাইনবোর্ড লাগিয়েছে। যাতে বড় করে লেখা রয়েছে, ‘অনেক হয়েছে, আর নয়’।
গ্রামটিতে অন্য জায়গার মানুষ এসে বিয়ের আয়োজন করায় সমস্যায় পড়তে হচ্ছে গ্রামের সাধারণ মানুষকে। তাই স্থানীয়রা গ্রামে আর অতিথি চায় না। গ্রামজুড়ে সাইনবোর্ড বসিয়ে ভবিষ্যতে যারা বিয়ে বা অন্য কোনো উৎসব উদযাপনের জন্য অক্সনিডে আসতে চায় তাদের সতর্ক করেছে গ্রামের বাসিন্দারা।
কোনো সাইনবোর্ডে স্পষ্ট লিখে দেওয়া হয়েছে, ‘বর-কনে এবং বিয়েবাড়ির অতিথিরা অক্সনিডে আর স্বাগত নন। ’ কোনো সাইনবোর্ডে আবার লেখা হয়েছে, ‘আর কোনো বিয়ে নয়, অনেক হয়েছে। ’
গ্রামবাসীর অভিযোগ, অক্সনিডে যারা আনন্দ করতে আসে, তারা গ্রামটিকে নোংরা করে দিয়ে যায়। সাজানো বাগান নোংরা করা থেকে শুরু করে প্রস্রাব করা, কিছুই বাদ দেয় না অতিথিরা। তারা চলে গেলে গ্রাম বারবার পরিষ্কার করাতে হয়। এতে দৈনন্দিন জীবনযাপন ব্যাহত হয়। গভীর রাত পর্যন্ত উচ্চ শব্দে গানবাজনার কারণে তারা ভালো করে ঘুমাতে পারে না বলে জানিয়েছে।
টেলিগ্রাফের প্রতিবেদন অনুসারে, নরফোকের হলটি একসময় স্থানীয়ভাবে বিখ্যাত প্যাস্টন পরিবারের বাড়ি ছিল। বর্তমানে এটি বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজনের হয়, যার মালিক লন্ডনের ফোর্টনাম অ্যান্ড মেসন কম্পানির সাবেক পরিচালক বেভারলি অ্যাসপিনাল। এত বছর ধরে সেখানে নির্দিষ্ট সংখ্যক কিছু বিয়ের আয়োজন করা হতো। কিন্তু করোনা মহামারির পর অক্সনিডে বিয়ে আয়োজনের সীমা উঠিয়ে দিয়েছে প্রশাসন। তার পর থেকেই স্থানীয়দের ওপর ‘অত্যাচার’ বেড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
ইন্ডি১০০-এর তথ্য অনুসারে, হলের পাশে ৫০০ একর জমির ওপর নির্মিত একটি খামার রয়েছে, যার মালিক সুসি ও রজার ক্রেন। খামারটি ওই বাড়িকে ঘিরে রেখেছে।
রজার জানান, বিয়ের অনুষ্ঠানগুলো বাসিন্দাদের জীবনে বড় ধরনের প্রভাব ফেলছে, যার কারণে তারা এমন পদক্ষেপ নিয়েছেন। অন্যদিকে সুসি জানান, রাতে বিছানায় যাওয়ার পরও উচ্চ শব্দের গানবাজনার কারণে বারবার ঘুমে ব্যাঘাত ঘটে তাদের।
সূত্র : আনন্দবাজার, এনডিটিভি
Priyo Bangla 24 – Most Popular Bangla News The Fastest Growing Bangla News Portal Titled Priyo Bangla 24 Offers To Know Latest National And Local Stories.
