বলিউডের (Bollywood) এভারগ্রীন সুন্দরী রেখার (Rekha) ব্যক্তিগত জীবন বরাবরই বিতর্কে থেকেছে। প্রেম, বিয়ে, সংসার নিয়ে বরাবর চর্চায় থেকেছেন তিনি। জীবনে বহুবার বহু নায়ককে কেন্দ্র করে তার সম্পর্কে জল্পনা হয়েছে। অমিতাভ বচ্চন থেকে শুরু করে অক্ষয় কুমার, সঞ্জয় দত্ত এমনকি হৃত্বিক রোশন, রেখার সঙ্গে সম্পর্কে থাকার বিষয়ে সংবাদমাধ্যমে নিশানা থেকে বাদ যাননি বলিউডের নামিদামি তারকা।
এত গুঞ্জনের পরেও অবশ্য আজ পর্যন্ত সিঙ্গেলই রয়ে গেলেন রেখা। মাঝে অবশ্য তিনি বিয়ে করেছিলেন এক ব্যবসায়ীকে। তবে বিয়ের এক বছরের মাথায় তার স্বামী আত্মহত্যা করেন। সেই বিষয়েও রেখার দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছিলেন শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা। আজ মুম্বাইতে একাই জীবন যাপন করছেন রেখা। তবে তাকে সব সময় আগলে আগলে রাখেন তার সেক্রেটারি ফারজানা। তিনি রেখার সর্বক্ষণের সঙ্গী। রেখাকে নাকি মায়ের মতই আগলে রাখেন তিনি।
জীবনে বহু সুপারহিট ছবিতে কাজ করেছেন রেখা। আজ তার কাছে ৪০ মিলিয়ন ডলারের সম্পত্তি রয়েছে বলে জানা যায়। ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় ৩০৭ কোটি টাকার সমান। এত অর্থ রয়েছে রেখার, কিন্তু সেই অর্থের কোনও দাবিদার নেই। রেখার পর তার বিপুল সম্পদের মালিক হবেন কে? এই প্রশ্ন ওঠে সাধারণের মনে।
রেখা তার সম্পত্তির দাবিদারও নাকি ঠিক করে ফেলেছেন। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, রেখা নাকি তার সম্পদ ফারজানা এবং চ্যারিটির মধ্যে ভাগ করে দিয়ে যাবেন।
অর্থ অভাবী শিশু এবং বৃদ্ধদের দুরাবস্থা রেখাকে ভাবায়। তাই তিনি তার সম্পদের একটা বড় অংশ শিশু এবং বৃদ্ধদের নিয়ে কাজ করা সংগঠনের হাতে তুলে দিয়ে যেতে চান। তিনি সেই সংগঠনকেই অর্থ সাহায্য করবেন যাদের প্রয়োজন রয়েছে।
অন্যদিকে রেখার সম্পত্তির অর্ধেক ভাগ পাবেন তার সর্বক্ষণের সঙ্গী ফারজানা। বিগত ৩২ বছর ধরে ফারজানা তাকে সর্বক্ষণ আগলে রেখেছেন। রেখার যত্ন নিয়েছেন। রেখার বেডরুমে নাকি ফারজানা ছাড়া আর কারও প্রবেশের অনুমতি নেই। এমনকি বিবাহিত জীবনেও নাকি ফারজানার অনুমতি ব্যতিরেকে রেখার স্বামীও ঘরে প্রবেশ করতে পারতেন না।
ফারজানা এবং রেখার সম্পর্ক নিয়েও বহু গুঞ্জন ছড়িয়েছে। তবে নীরবে সব বিতর্ক হজম করেছেন দুজনে। সম্পত্তির উত্তরাধিকারী নিয়ে রেখা কখনও প্রকাশ্যে মুখ খোলেননি ঠিকই কিন্তু বলিউডে এই নিয়ে চর্চা তুঙ্গে।
Priyo Bangla 24 – Most Popular Bangla News The Fastest Growing Bangla News Portal Titled Priyo Bangla 24 Offers To Know Latest National And Local Stories.
