বিশ্ব ফুটবলের সবচেয়ে বড় আসর ফিফা বিশ্বকাপ। ২০২২ কাতার বিশ্বকাপ সামনে রেখে ইতোমধ্যে বিশ্বব্যাপী ফুটবল উন্মাদনা শুরু হয়ে গেছে। ইউরোপ, আমেরিকাসহ এশিয়াতেও পড়েছে গোল-বলের প্রভাব।
অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজেদের পছন্দের খেলোয়াড় ও দলের ছবি শেয়ার করে উসকে দিচ্ছেন বিপক্ষ দলের দর্শকদের। এ দেশের বেশিরভাগ ক্রীড়াপ্রেমী পেলের দেশ ব্রাজিল এবং ম্যারাডোনার দেশ আর্জেন্টিনার সাপোর্টার।
প্রিয় দলের সমর্থনে ভিনদেশি পতাকা আর জার্সি কেনার হিড়িক চারদিকে। তবে কি শুধু পতাকা আর জার্সিতেই চলবে? আয়েশি ভঙ্গিতে জমিয়ে বসে প্রিয় দলের খেলা উপভোগের দারুণ এক ব্যবস্থা করে দিচ্ছে ‘আমানত শাহ লুঙ্গি’।
ফুটবলে বেশি জনপ্রিয় দলগুলো জার্সির আদলে তারা বাজারে এনেছে বিশ্বকাপ স্পেশাল লুঙ্গি। এগুলোর নকশা করেছেন প্রতিষ্ঠানের নিয়মিত ডিজাইনার পলাশ। মাত্র পাঁচ দিনের মধ্যেই বিক্রি হয়েছে চার লাখ পিস।
প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক রেজাউল করিম জানান, তারা ফুটবল বিশ্বকাপ উপলক্ষে এবারই প্রথম জার্সির আদলে লুঙ্গি বাজারে ছেড়েছেন। প্রথম পাঁচ দিনে চার লাখ পিস বিক্রির পর দ্বিতীয় দফায় পণ্য তৈরির কাজ চলছে।
তার আশা বৃহস্পতিবার থেকে আবারও আগ্রহী ক্রেতারা তাদের পছন্দের লুঙ্গির জোগান পাবেন। মুজাহিদ বলেন, ‘এখন কেউ লুঙ্গির অর্ডার দিলে আমরা সেটি প্রি-অর্ডার হিসেবে নিচ্ছি। বৃহস্পতিবার থেকে ডেলিভারি দেয়া শুরু করব।’
সমর্থকদের সংখ্যা বিবেচনায় পাঁচটি জনপ্রিয় দলের জার্সির আদলে লুঙ্গিগুলো বানিয়েছে আমানত শাহ লুঙ্গি। এগুলোর হলো ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, জার্মানি, ফ্রান্স এবং স্পেন।
প্রতিটি লুঙ্গির দাম রাখা হচ্ছে ৩৭০ টাকা। এর সঙ্গে যুক্ত হবে ডেলিভারি চার্জ। ঢাকার ঠিকানায় ৪০ টাকা এবং ঢাকার বাইরে ৮০ টাকা করে ডেলিভারি চার্জ দিতে হবে ক্রেতাদের।
ফুটবল বিশ্বকাপ সামনে রেখে লুঙ্গিগুলো বানানো হয় ৬ নভেম্বর। তারপর ১০ নভেম্বর শুরু হয় প্রচার এবং বিপণন। সোশ্যাল মিডিয়াতে এটি প্রচারের দায়িত্বের আছে আমানত শাহ গ্রুপের অনলাইন প্ল্যাটফর্ম মিয়া।
ব্র্যান্ড ম্যানেজার মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা মূলত পাইকারি ব্যবসায়ী। তাই অনেক খুচরা পর্যায়ের বিক্রেতা লুঙ্গিগুলো সংগ্রহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে গেছেন।
‘আর সরাসরি কিনতে আগ্রহীরা আমাদের ফেসবুক পেজ বা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অর্ডার দিচ্ছেন। আমরা তাদের পাঠিয়ে দিচ্ছি।’