কয়েক বছর ধরে অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে বসবাস করছেন ঢাকাই সিনেমার একসময়ের তুমুল জনপ্রিয় নায়িকা শাবনূর। কিছুদিন ধরে অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী আরেক বাংলাদেশির সঙ্গে এই অভিনেত্রীর সম্পর্কের গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। তারই মাঝে ভাইরাল ওই যুবকের সঙ্গে শাবনূরের কয়েকটি ঘনিষ্ঠ ছবি।
যদিও শাবনূর ওই যুবককে জাস্ট ফ্রেন্ড বলে দাবি করেন। তবে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ছবিগুলো দেখে এই দাবি মানতে নারাজ নেটজনতা। তাদের মন্তব্য, জাস্ট ফ্রেন্ডের সঙ্গে কেউ এমন ঘনিষ্ঠভাবে পোজ দিয়ে ছবি তোলে না। অনেকে আবার বলছেন, অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে সে দেশের কালচার ফলো করছেন শাবনূর, তাই ওরকম ছবি তুলেছেন।
বুধবার শাবনূরের ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম থেকে এমন ডজন খানেক ছবি প্রকাশ হয়। ক্যাপশনে লেখা হয়, ‘ফটোশ্যুট।’
কিন্তু কী আছে ছবিগুলোতে। একটি ছবিতে দেখা যায়, ওই ব্যক্তির বুকে মাথা রেখে তার শরীরের সঙ্গে একেবারে মিশে গিয়ে পোজ দিয়েছেন শাবনূর। দুজনের মুখেই হাসি। স্বামী-স্ত্রী বা প্রেমিক-প্রেমিকা যেমন ঘনিষ্ঠ অবস্থায় ধরা দেন, ছবিগুলো ঠিক তেমন।
আরেকটি ছবিতে দেখা যায়, শাবনূরের ঘাড়ের ওপর দিয়ে হাত দিয়ে তাকে জাপটে ধরে রেখেছেন ওই ব্যক্তি। আরেকটিতে দেখা যায়, ওই ব্যক্তি বসে আছেন এবং শাবনূর পেছন থেকে যুবকের ঘাড়ের ওপর হাত রেখে তার দিকে ঝুঁকে হাসিমুখে পোজ দিয়েছেন।
ছবিগুলো প্রকাশ্যে আসতেই নায়িকার ভক্ত-শুভাকাঙ্ক্ষীদের মনে নানারকম প্রশ্ন উঁকি দিচ্ছে। সিনেমা সংশ্লিষ্ট গ্রুপগুলোতেও ছবিগুলো নিয়ে চলছে নানা চর্চা। অনেকে বলছে, এটি শাবনূরের পরিবারিক ছবি। কেউ কেউ জানতে চাচ্ছেন, ওই যুবকের সঙ্গে শাবনূরের পরিচয় কী? অনেকে আবার তাদের শুভকামনাও জানাচ্ছেন।
এ ব্যাপারে শাবনূরের একাধিক ঘনিষ্ঠ সূত্র সংবাদমাধ্যমকে বলছেন, তাদের কাছে ওই ব্যক্তিকে ‘জাস্ট ফ্রেড’ দাবি করেন শাবনূর। বেশ কিছুদিন হলো তারা অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে প্রকাশ্যে এভাবে ঘনিষ্ঠভাবে চলাফেরা করছেন। ওই ব্যক্তি একজন ব্যবসায়ী। তিনিও বাংলাদেশি। বেশ কয়েক বছর ধরে শাবনূরের সঙ্গে তার পরিচয়।
তবে এই রহস্যের জট খুলেননি তিনি।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালের ৬ ডিসেম্বর অনিকের সঙ্গে ঘর বাঁধেন শাবনূর। তাদের সংসারে আইজান নামের একটি সন্তান রয়েছে। ২০১১ সালের ৬ ডিসেম্বর অনিক মাহমুদ হৃদয়ের সঙ্গে আংটি বদল করেন শাবনূর। এরপর ২০১২ সালের ২৮ ডিসেম্বর বিয়ে করেন তারা। ২০১৩ সালের ২৯ ডিসেম্বর আইজান নিহান নামে এক পুত্রসন্তানের মা হন শাবনূর। পুত্রকে নিয়ে তিনি এখন অস্ট্রেলিয়ায় বসবাস করছেন।