লেখাপড়ায় ছেলের সাফল্যে মিষ্টি বিতরণ করেন বাবারা। এটিই সাধারণ রীতি। কিন্তু সন্তানের সাথে বাবাও যদি হন পরীক্ষার্থী, আর ফলাফলে যদি যান এগিয়ে, তাহলে কেমন হয়? হ্যাঁ, এমনটাই ঘটেছে ময়মনসিংহে। বাবা-ছেলে একসঙ্গে পাস করেছেন এসএসসি। করছেন মিষ্টি বিতরণও।
সোমবার (২৯ নভেম্বর) দুপুরে এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর এমন দৃশ্য দেখা গেছে ময়মনসিংহের গৌরীপুর ইউনিয়নের বায়রাউড়া গ্রামে।
জানা গেছে, বাবা এখলাস উদ্দিন নয়ন (৪৫) নেত্রকোনার মগরাইল আদর্শ কারিগরি ইন্সটিটিউট এবং ছেলে রাকিবুল হাসান রায়হান (১৭) গৌরীপুর সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এবারের এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেন। এতে ভালো ফলও করেন তারা। তবে ছেলের চেয়ে ভালো জিপিএ অর্জন করেছেন মধ্যবয়সী বাবা। পিতা এখলাস উদ্দিন পেয়েছেন জিপিএ-৫ এবং তার ছেলে রায়হান পেয়েছে ৪.৮৬।
পরীক্ষার্থী ও সাবেক ইউপি সদস্য এখলাস উদ্দিন নয়ন বলেন, ১৯৯৬ সালে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। কিন্তু অসুস্থতার কারণে সে বছর পরীক্ষা দিতে পারিনি। পরে আর পড়াশোনা হয়নি। ২০২০ সালে স্ত্রীর উৎসাহে স্কুলে ভর্তি হই। এই বয়সে এসে পড়াশোনা করে যে ফলাফল পেয়েছি, তাতে আমি সন্তুষ্ট। এখন ছেলের সঙ্গে উচ্চ মাধ্যমিকে ভর্তি হবো।
ছেলে রাকিবুল হাসান রায়হান বলেন, বাবা সবসময় আমার পড়াশোনার দিকে খেয়াল রাখতেন। একসঙ্গে পাস করার পাশাপাশি বাবার ভালো ফলে আমি খুশি। আমি পড়াশোনা করে ইঞ্জিনিয়ার হতে চাই। পাশাপাশি বাবাও পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
গৌরীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হাসান মারুফ বলেন, বাবা-ছেলের একসঙ্গে এসএসসি পাসের বিষয়টি শুনেছি। আসলে শিক্ষার কোনো বয়স নেই। তাদের জন্য শুভকামনা। এ ঘটনা অন্যদেরও অনুপ্রাণিত করবে।