আপনারা সবাই হয়তো মিঠুন চক্রবর্তী নামটির সঙ্গে পরিচিত হবেন। আশির দশকে বলিউডের সবথেকে জনপ্রিয় নায়কদের মধ্যে মিঠুন চক্রবর্তী ছিলেন একজন।
ডিসকো ড্যান্সার থেকে শুরু করে তামাম হিন্দি ছবিতে তার অভিনয় সকলের নজর কেড়েছে। একটা দীর্ঘ সময় ধরে বলিউডে তিনি একেবারে রাজত্ব করে এসেছেন। বলিউডে তাকে দেখা গিয়েছে প্রচুর সিনেমায় অভিনয় করতে এবং প্রচুর পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয় করতে।
তবে নায়ক হিসেবেই তিনি বেশি জনপ্রিয়। শুধুমাত্র হিন্দি ছবি নয় বাংলা ইন্ডাস্ট্রিতেও মিঠুন চক্রবর্তী অত্যন্ত জনপ্রিয়। তাকে সকলেই এক ডাকে চেনেন। নাচের জন্য হোক কিংবা অভিনয়, ইন্ডাস্ট্রিতে মিঠুন চক্রবর্তীর নামটাই যথেষ্ট যে কোন সিনেমা হিট হবার জন্য। সম্প্রতি আবার ভারতীয় জনতা পার্টির একজন মুখপাত্র হিসেবে নতুন ইনিংস শুরু করেছেন মিঠুন চক্রবর্তী। তবে সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়াতে তিনি নিজের অভিনয় কিংবা নিজের রাজনীতির জন্য নয় বরং নিজের স্ত্রীর সৌন্দর্যের জন্য চর্চার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছেন তিনি।
আপনাদের জানিয়ে রাখি অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীর স্ত্রীর নাম যোগিতা বালি এবং তিনিও একটা সময় বলিউড ইন্ডাস্ট্রির একজন নামজাদা অভিনেত্রী ছিলেন। এখন আর যোগিতা বালিকে বলিউডের ছবিতে দেখা না গেলেও, একটা দীর্ঘ সময় ধরে বহু ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি। ১৯৭৯ সালে মিঠুন চক্রবর্তী এবং যোগিতা বালি দুজনে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। আপনাদের জানিয়ে রাখি ১৯৫২ সালে যোগিতা বালির জন্ম হয় এবং খুব কম বয়সী তিনি বলিউডে পা রেখেছিলেন অভিনেত্রী হিসেবে। মিঠুন চক্রবর্তী এবং যোগিতা বালির এই জুটি বলিউডের সব থেকে আইকনিক জুটি গুলির মধ্যে একটি।
আপনাদের জানিয়ে রাখি, যোগিতা চক্রবর্তী সম্পর্কে কাপুর পরিবারের পুত্রবধূ গীতাবলির ভাইঝি। একটি ফিল্মের সমারোগের অনুষ্ঠানে দুজনের দেখা হয় এবং তারপরেই দুজনের মধ্যে সম্পর্ক রূপ নেয়। যোগিতা বালির সৌন্দর্যের সামনে মাধুরী দীক্ষিতের সৌন্দর্য ফিকে হয়ে যায়। তার কিছু ছবি দেখলে হয়ত আপনিও চমকে যাবেন।
তবে আপনাদের জানিয়ে রাখি, যোগিতা বালি কিন্তু মিঠুন চক্রবর্তীর আগে জনপ্রিয় গায়ক কিশোর কুমারের স্ত্রী ছিলেন। ১৯৭৬ সালে তার এবং কিশোর কুমারের বিয়ে হয় এবং ১৯৭৮ তাদের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। এরপরই ১৯৭৯ সালে তার জীবনে আসেন মিঠুন চক্রবর্তী।