নুসরাত ইমরোজ তিশার পরনে শাড়ি। মেহেদি রাঙা হাতে চুড়ি। গলায় নেকলেস, সিঁথিতে শোভা পাচ্ছে টিকলি। কপালে টিপ, কানে দুল। চোখে-মুখে খেলা করছে উচ্ছ্বাসের হাসি। তাকে জড়িয়ে ধরে দাঁড়িয়ে আছেন নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। তার পরনে পাঞ্জাবি, মাথায় ক্যাপ, চোখে চশমা। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা ছবিতে এমন রূপে দেখা যায় ফারুকী-তিশা দম্পতিকে।
দীর্ঘ দিন প্রেম করে ২০১০ সালের ১৬ জুলাই বিয়ে করেন এই জুটি। ১৩ বছর আগে এই পোশাকে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন তারা। বিয়ের ১৩ বছর পূর্তি উপলক্ষে ফের একই পোশাক পরে ফটোশুটে অংশ নিলেন এই যুগল।
কিন্তু বিয়ের পোশাকে ফের কেন সাজলেন এই দম্পতি? বিস্তারিত জানিয়ে মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। তাতে এই নির্মাতা বলেন, ‘জীবন কখনো কখনো নিজের মতো করেই স্ক্রিপ্ট লেখে। আমাদের বিয়ের তেরো বছর পূর্তিতে তিশা পরিকল্পনা করলো— আমরা বিয়েতে যে পোশাক পরছিলাম সেটা পরেই তেরো বছর পূর্তি উপলক্ষে একটা ফটোশুট করব। সেই একই মানুষ, একই পোশাক, শুধু সময়টা এগিয়ে গেছে, আর আমাদের জীবনে এসেছে ইলহাম।’
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, ‘আমরা ভাবছিলাম কোথায় যাওয়া যায়! ঢাকার কাছেই হিজল তমাল নামে একটা পিকনিক স্পট আছে। ওখানেই গেলাম। গিয়েই খেয়াল হলো এর মালিকের বাড়িতেই নিখোঁজ সংবাদ শুটিং হইছিল। আর সেই স্পটেই আমি তিশাকে বিয়ের প্রস্তাব দিছিলাম। আজকে তেরো বছর পর সেখানেই আসাটা মহাজাগতিক এক পরিকল্পনাই বটে।’
‘তেরো বছরে আমরা অনেক চড়াই-উতরাই পার হইছি। বাচ্চা নেয়া নিয়ে অনেক কিছুর মুখোমুখি হইছি। কিন্তু নিঃসন্দেহে এই জার্নিটা ছিল অসাধারণ। তোমার কাছে কৃতজ্ঞতার তালিকাটা অনেক বড়। কত বড় বড় বিষয় থেকে শুরু করে তুচ্ছ বিষয়ে তোমার উপর নির্ভর করি। তোমাকে ছাড়া বিদেশে গেলে এখনো রাতেরবেলা বাতি নিভাইতে পারি না, ভয় পাই। ভাবি একা একা যাব কিভাবে এই দুনিয়া থেকে? অথচ কি আশ্চর্য আমরা একা একাই বড় হইছিলাম এই দুনিয়ায়! আরো কত কিছু বলতে মন চায়। তার চেয়ে বরং বলি, লাভ ইউ তিশা। হ্যাপি অ্যানিভারসারি টু আস।’ বলেন ফারুকী।
বিশেষ এই ফটোশুটের বেশ কিছু ছবি নিজের ফেসবুকে শেয়ার করেছেন নুসরাত ইমরোজ তিশা। এ অভিনেত্রী বলেন, ‘২০১০ এর এই দিনটাতে আমাদের বিয়ে হয়। আজ ২০২৩। দেখতে দেখতে তেরোটা বছর এক সাথে কাটিয়ে দিলাম। তাই ভাবলাম একই পোশাকে একই মানুষের সাথে আবার বিয়ে হোক। জীবনে যোগ হয়েছে শুধু ইলহাম। আর বিয়োগ হয়েছে সময়। বাকি সবকিছু আগের মতোই আছে। ধন্যবাদ তোমাকে, এত বছর আমাকে সহ্য করার জন্য। আলহামদুলিল্লাহ। লাভ ইউ সো মাচ। হ্যাপি ম্যারেজ অ্যানিভার্সারি।’