জেলার শ্রেষ্ঠ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ( ইউএনও) হয়েছেন মৌলভীবাজার সদরের ইউএনও সাবরিনা রহমান বাঁধন। প্রাথমিক শিক্ষা ক্ষেত্রে অবদান এবং শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়নে ভূমিকা রাখার জন্য তাকে এই স্বীকৃতি দেওয়া হয়। প্রাথমিক শিক্ষা পদক প্রদান মৌলভীবাজার জেলা বাছাই কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান ও সদস্য সচিব জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শামসুর রহমান স্বাক্ষরিত এক পত্রে এ তথ্য জানা যায়।
ক্লোজআপ ওয়ানের সেই বাঁধন হলেন মৌলভীবাজার জেলার শ্রেষ্ঠ ইউএনও
এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাবরিনা রহমান বাঁধন বলেন, এখন আমার দায়িত্ব আরও বেড়ে গেল। দেশ ও জাতির কাছ থেকে পাওয়া সম্মানের প্রতিদান তো দিতে হয়।
সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব থেকে ২০২১ সালের ১ জুন মৌলভীবাজার সদর উপজেলায় নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পদে যোগ দেন সাবরিনা রহমান বাঁধন।
মৌলভীবাজারে যোগ দিয়ে অনেকগুলো ভালো কাজের মধ্যে সকল স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসার ১৪০০ শিক্ষার্থীর জন্য আয়োজন করেছিলেন শুদ্ধসুরে জাতীয় সংগীত প্রশিক্ষণ। মুজিববর্ষে তার ব্যতিক্রম আয়োজন চা বাগানে নিয়ে শিশুদের হাতে কলমে আর্টক্যাম্প অনেক প্রশংসিত হয়।
ইউএনও সাবরিনা রহমান বাঁধনকে দেশের আবাল বৃদ্ধ বনিতা চেনেন নামি শিল্পী হিসেবে। ২০১০ সালে জনপ্রিয় টিভি অনুষ্ঠান ‘ক্লোজআপ ওয়ান তোমাকেই খুঁজছে বাংলাদেশ’ দ্বিতীয় আসরে হন সেরা ১০ ফাইনালিস্ট’র একজন। এখন শিক্ষাক্ষেত্রে অবদানের জন্য হলেন জেলার শ্রেষ্ঠ ইউএনও।
শিল্পী বাঁধনের জন্ম বনলতা সেনের নাটোরে। নলডাঙা উপজেলার প্রত্যন্ত পল্লী ঠাকুর লক্ষীভোল গ্রামে। বাবা ছিলেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব)। তিন বোন আর একমাত্র ভাইয়ের মধ্যে বড় বাঁধন। শিক্ষাজীবনে ছিলেন মেধাবী। স্টার মার্ক পেয়ে ১৯৯৯ সালে রাজশাহী বোর্ড থেকে এসএসসি এবং সমান নম্বর পেয়ে ২০০১ সালে ঢাকা বোর্ড থেকে এইচএসসি পাস করেন বাঁধন। স্বপ্ন ছিল ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার। ভর্তি হন দেশের সেরা বিদ্যাপীঠ বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট)। সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বিএসসি করে ৩২তম বিএসিএসে অংশ নেন। সুপারিশপ্রাপ্ত হন প্রফেশনাল ক্যাডারের সড়ক ও জনপদ বিভাগে। কিন্তু বাবার ইচ্ছে পূরণে ৩৩তম বিএসিএসে অংশ নেন।
এডমিনে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়ে প্রশাসনিক চাকরি জীবনের প্রথম পোস্টিং চট্টগ্রাম কালেক্টোরেটে সহকারী কমিশনার পদে।
সাবরিনা রহমান বাঁধনের ‘শেষের কবিতা পরে’ কাব্যগ্রন্থ আর ‘কমলো মেঘের ওজন’ উপন্যাস ২০২২ সালের বই মেলায় মোড়ক উন্মোচিত হয়।