টোলপড়া গালে চাঁদের মতোই হাসি লেগে থাকে পূর্ণিমার। দুই যুগে ঢাকাই চলচ্চিত্রকে আলোকিত করে চলেছেন এই নায়িকা। উপহার দিয়েছেন অসংখ্য দর্শকনন্দিত সিনেমা। তার নাম দিলারা হানিফ পূর্ণিমা।
৩ অক্টোবর সোমবার নিজের ফেসবুকে ভেরিফায়েড পেজে একটি ছবি পোস্ট করেন পূর্ণিমা। ছবিতে তার পরনে খয়েরি রঙের শাড়ি, কানে
লম্বা রূপালী দুল, ডান হাতে সোনালী চুরি, বাম হাতে ঘড়ি। আর সঙ্গে মানানসই মেকআপ। খোলা চুলে মৃদু হাসি মুখে দূর পানে তাকিয়ে আছেন তিনি।
নেটিজেনদের ধারণা, পূর্ণিমার বয়স যত বাড়ছে রূপও তত বেড়েই চলেছে। অনেকে মনে করেন, এ জন্যই তিনি চিরসবুজ।
পূর্ণিমার ছবিটি প্রকাশের পরই সেটি নেটিজেনদের নজর কেড়েছে। মাত্র ১৭ ঘণ্টায় তার সেই পোস্টে ৬৫ হাজার লাইক। প্রায় আট হাজার মন্তব্য জমা পড়েছে। এ ছাড়াও তার পোস্টটি নিজেদের ওয়ালে শেয়ার করেছেন একশ’রও বেশি ভক্ত।
সেই ছবিতে মতিউর রহমান রাঙা নামে একজন কমেন্ট করেছেন, দাদার ক্রাশ, বাবার ক্রাশ, আমার ক্রাশ, এখন মনে মনে আমার বাচ্চারও ক্রাশ হবে..। সোহাগী আক্তার নামে এক ভক্ত লিখেছেন, শাড়ি ও নারী দুইটায় সুন্দর…
১৯৯৭ সালে জাকির হোসেন রাজু পরিচালিত ‘এ জীবন তোমার আমার’-এর মাধ্যমে চলচ্চিত্রে পথচলা শুরু করেন পূর্ণিমা।
এরপর একে একে ‘নিঃশ্বাসে তুমি বিশ্বাসে তুমি’, ‘হৃদয়ের কথা’, ‘ধোঁকা’, ‘শিকারী’, ‘স্বামী-স্ত্রীর যুদ্ধ’, ‘মেঘের পরে মেঘ’, ‘টাকা’,
‘শাস্তি’, ‘মনের সাথে যুদ্ধ’, ‘আকাশ ছোঁয়া ভালোবাসা’, ‘পরাণ যায় জ্বলিয়া রে’, ‘মায়ের জন্য পাগল’, ‘ওরা আমাকে ভাল হতে দিল না’সহ উপহার দিয়েছেন বহু জনপ্রিয় সিনেমা।
সেরা অভিনেত্রী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, একাধিকবার মেরিল প্রথম আলো পুরস্কারসহ বেশ কিছু সম্মাননা পেয়েছেন তিনি। অভিনয়ের পাশাপাশি উপস্থাপিকা হিসেবেও পূর্ণিমার খ্যাতি আকাশচুম্বী।