ব্যক্তিগত জীবনের নানা ইস্যু নিয়ে আলোচনার তুঙ্গে রয়েছেন শাকিব খান। নায়িকা বুবলীর সঙ্গে সম্পর্ক ও তাদের আড়াই বছরের সন্তান শেহজাদ খান বীরের বিষয় প্রকাশ্যে আসার পর থেকে তুমুল সমালোচিত হচ্ছেন ঢাকাই সিনেমার কিং খান।
চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাসের মতোই ভাগ্য বরণ করতে যাচ্ছিলেন বুবলী— এমন কথা তুলে শাকিবকে তুলোধোনা করা হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
এরই সঙ্গে হালের আলোচিত নায়িকা পূজার চেরির সঙ্গে শাকিবের প্রেমের গুঞ্জন ঝড় তুলেছে সামাজিকমাধ্যমে। যদিও এসব গুঞ্জনের সত্যতা মেলেনি। তবে বিষয়টি নিয়ে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন পূজা। মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন। সারা রাত কান্নাকাটিও করেছেন তিনি।
একটি সংবাদমাধ্যমকে এসব জানিয়েছেন পূজা চেরীর মা ঝর্না রায়।
তিনি বলেন, প্রেমের বিষয়টি পুরোপুরি গুজব। অনেকে সত্যটা না জেনেই এই বিষয়ে গুজব ছড়িয়ে যাচ্ছে। পূজা এখনো ছোট একটা মেয়ে। সে পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে। রাতভর কান্না করছে। মা হিসেবে এই কষ্ট আমি মেনে নিতে পারি না। সত্য ঘটনা না জেনে এ ধরনের খবর রটানো কতটা যৌক্তিক?
ঝর্না রায় আরও বলেন, আমরা পূজাকে মানসিকভাবে সাহস জুগিয়ে যাচ্ছি। বোঝানোর চেষ্টা করছি। পূজা তবুও কান্না করছে। তাকে বোঝানো যাচ্ছে না। সে যখন একটি প্রযোজনা হাউসে (জাজ মাল্টিমিডিয়া) চুক্তিবদ্ধ ছিল তখন কিন্তু এমন গুঞ্জন শোনা যায়নি।
যখনই ওই হাউস থেকে বেরিয়ে ‘গলুই’ করেছে, এরপর থেকেই তাকে নিয়ে নানা গুজবের ডালপালা মেলছে। আমি সবাইকে বলব সত্যটা না জেনে এ ধরনের আলোচনা থেকে বিরত থাকতে।
এ ছাড়া কিছুদিন আগে ‘হৃদিতা’ সিনেমার প্রচারে অংশ না নেওয়ারও অভিযোগ উঠেছিল পূজা চেরীর নামে। কিন্তু বিষয়টিকে মিথ্যা প্রমাণ করে ইতোমধ্যেই প্রচারে অংশ নিয়েছেন এই চিত্রনায়িকা।
পূজা চেরী বলেন, ‘অভিনেত্রী হিসেবে সর্বোচ্চ ভালো করার চেষ্টা করেছি। দর্শকরা যখন পর্দায় হৃদিতা কিংবা কবিরকে দেখবেন, তারা অন্তত বলবেন যে চরিত্রগুলো পারফেক্ট ছিল।
সরকারি অনুদান পাওয়া ‘হৃদিতা’ সিনেমায় পূজা চেরির বিপরীতে আছেন এ বি এম সুমন ।
আনিসুল হকের লেখা গল্পটি একটি জনপ্রিয় উপন্যাস। সে উপন্যাসটি পর্দায় যেনো আরও প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছে।
পূজার ভাষ্য, ‘সিনেমাটি সাহিত্যিক আনিসুল হকের উপন্যাস হৃদিতা অবলম্বনে নির্মিত হয়েছে।
সিনেমার গল্প খুবই হৃদয় ছোঁয়া। প্রথমবারের মতো কোনো সাহিত্য-নির্ভর সিনেমায় কাজ করেছি।
আমার বিশ্বাস ছবিটি দর্শকদের হৃদয় ছুঁয়ে যাবে।’