চিত্রনায়ক জায়েদ খান। পরপর দুইবার বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। দায়িত্বে থাকাকালীন সিনেমা ও সংগঠন সংশ্লিষ্ট কাজের জন্য আলোচনায় উঠে আসেন। তবে চলতি বছর সংগঠনটির ১৭তম নির্বাচনে তৃতীয়বারের মতো অংশ নিয়ে আবারও আলোচনায় আসেন এই তারকা।
সম্প্রতি এই তারকা এক সাক্ষাৎকারে জানালেন, একটি মেয়ে তার ছবি ছাপিয়ে বালিশের কাভার বানিয়ে তাতে ঘুমায়। এটা দেখতে তার কাছে খুবই ভালো লাগে। আবার কোনো মেয়ে কিং বলে ডাকে বলেও জানান জায়েদ খান।
রিলেশনের ব্যাপারে এই চিত্রনায়ক বলেন, আমি যখন যে রিলেশনে থাকি তখন সেই রিলেশনেই থাকি। এটাকে বলে আমি সৎভাবে প্রেমটা করি। মেয়েরা একটু কেয়ারিং, বিশ্বাস ও সততা পছন্দ করে। আর হ্যান্ডসাম ব্যাপার তো আছেই।
তিনি বলেন, নায়ক হলেও দেখে আমি সিগারেট-মদ স্পর্শ করি না, জুয়া খেলি না। দূর থেকে অনেকে অনেক কিছুই মনে করে। আসার পর দেখে এসব কিছুই নাই। ভালো একটা ফ্যামিলিতে অবস্থান করি এবং কাউকে বিপদে ফেলি না। যেকোনো মানুষের বিপদে পাশে দাঁড়াই। কিছু মানুষ আছে প্রেমের সময় ব্ল্যাকমেইল করে, বাজে কথা বলে। আমি এসব কখনোই করি না।
এছাড়া গোপনে বিয়ের প্রসঙ্গ উঠলে সেই বিষয়েও কথা বলেন তিনি। বলেন, অনেকে অনেক কিছু মিথ্যা বুঝিয়ে গোপনভাবে কাউকে বিয়ে করে, এসব কখনো করিনি আমি। মেয়েরা দিনশেষে সৎ, ছায়া হতে পারবে, বিশ্বাসী এমন মানুষ খোঁজে। সেই বিশ্বাস আমার মধ্যে পায়। যে কারণে মেয়েরা তাদের ভালোবাসার জায়গাটা আমাকে দেয়।
তিনি বলেন, শুধু আমিই না, সব নায়কের জন্যই মানুষ এসব করে। সালমান শাহর জন্য মানুষ আত্মহত্যা পর্যন্ত করেছেন। আমার জন্য এক মেয়ে বালিশের কাভারের ওপর ছবি ছাপিয়ে ঘুমায়। তার ছবি পাঠায়। এটা দেখতেই আমার ভালো লাগে। কোনো মেয়েরা আমাকে কিং বলে ডাকে। বলে, আপনি আমার কিং।
‘অন্তর জালা’ সিনেমার অভিনেতা বলেন, আমি একটা মেয়েকে দুষ্টমি করে বলছি, পাবনা যেতে পারবা। বাড়ি পাবনা কিনা জানি না। সে পাবনা মেন্টাল হসপিটালে গেছে। সেখান থেকে ফোন করেছে, এই যে আমি এসেছি, আপনি বললে আমি ভর্তি হবো। আমি তো ভয় পেয়ে গেছি। পরে বলছি, দুষ্টমি করেছি। এরপর তার মায়ের সঙ্গে কথা বলে ফিরিয়ে নিয়েছি তাকে।