ক’দিন বাদেই শুরু হবে বিশ্বকাপ। প্রিয় দলকে সমর্থন দিতে কাতারে যাবে লাখ লাখ ফুটবল প্রেমী।
লিওনেল মেসিদের খেলা দেখতে কাতারে সমাগম ঘটবে হাজার হাজার আর্জেন্টাইনদের। তবে দুঃসংবাদ রয়েছে দেশটির নির্দিষ্ট ৬ হাজার সমর্থকদের জন্য। কাতার বিশ্বকাপে নিষিদ্ধ হয়েছেন তারা।
যে ৬ হাজার ব্যক্তির তালিকা তৈরি করা হয়েছে, অতীতের এদের নামে স্টেডিয়ামে গিয়ে ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকা, নিষিদ্ধ সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত কিংবা রেস্টুরেন্টে খাবার খেয়ে বিল না দিয়ে চলে আসার অভিযোগ রয়েছে।
বুয়েন্স আয়ার্স সিটির জাস্টিস অ্যান্ড সিকিউরিটি মিনিস্টার মার্সেলো ডি আলেসান্দ্রো স্থানীয় একটি রেডিও স্টেশনকে বলেন, ‘যে ব্যক্তি এখানে সন্ত্রাসী কাজ করতে পারে, সে কাতারে গিয়েও করবে। আমরা চাই ফুটবলে শান্তি ফিরিয়ে আনতে। এ কারণে চাই হিংস্র সমর্থকদের মাঠের বাইরে রাখতে। ‘
তালিকাকৃত ব্যক্তিদের পরিচয় তুলে ধরে বুয়েন্স আয়ার্সের এই কর্তাব্যক্তি বলেন, ‘বারাস (হিংস্র সমর্থক) নামে একটি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত তারা। যারা সব সমই খেলার মাঠে তথা স্টেডিয়ামে গিয়ে ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। এছাড়া তারা ট্রাপিটোস (আর্জেন্টিনায় নিষিদ্ধ একটি ব্যবসা) এবং বকেয়া বিলের সঙ্গে জড়িত তারা।
কাতার বিশ্বকাপ পরিচালনা কমিটির কর্মকর্তারা আগে থেকেই বলে আসছিলেন, ‘বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী প্রতিটি দেশ থেকে পুলিশ সদস্যের একটি দল পাঠানো হবে যারা কাতারে এসে স্থানীয় পুলিশের সঙ্গে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে কাজ করবে। ’
এদিকে কাতার বিশ্বকাপ পরিচালনা কমিটির কর্মকর্তারা আগে থেকেই বলে আসছিলেন, বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী প্রতিটি দেশ থেকে পুলিশ সদস্যের একটি দল পাঠানো হবে যারা কাতারে এসে স্থানীয় পুলিশের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে কাজ করবে। গত জুন মাসেই কাতার দুতাবাসের সঙ্গে আর্জেন্টিনার ন্যাশনাল সিকিউরিটি মন্ত্রণালয় একটি সমঝোতা চুক্তি সাক্ষর করে।
যেটার মূল উদ্দেশ্যই হচ্ছে, আর্জেন্টাইন উগ্র সমর্থকদের বিশ্বকাপে গিয়ে খেলা দেখা থেকে বিরত রাখার ব্যবস্থা করা। এ কারণেই মূলতঃ ৬ হাজার আর্জেন্টাইন সমর্থককে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে কাতার স্টেডিয়ামে প্রবেশ করা থেকে।
বিশ্বকাপে ‘সি’ গ্রুপে আর্জেন্টিনার প্রতিদ্বন্দ্বী তিন দল- সৌদি আরব, মেক্সিকো ও পোল্যান্ড। ২২ নভেম্বর সৌদি আরবের মুখোমুখি হয়ে কাতার বিশ্বকাপ শুরু করবেন লিওনেল মেসিরা।