না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন গায়ক আকবর। রোববার (১৩ নভেম্বর) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৪ বছর।
আজ থেকে প্রায় ১৮ বছর আগে হানিফ সংকেতের জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ইত্যাদির মঞ্চে গেয়ে রাতারাতি পরিচিতি পান আকবর। পরবর্তীতে তার মৌলিক গানেও বেশ সাড়া পেয়েছেন। তার সংগীতজীবনের পুরো জার্নিতে পাশে ছিলেন বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও উপস্থাপক হানিফ সংকেত। আকবরের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে তার পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন তিনি।
সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রয়াত আকবরকে নিয়ে দীর্ঘ একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন হানিফ সংকেত। তার সেই স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো-
আজ দুপুরে আকবরের স্ত্রী হঠাৎ ফোন করে অঝোরে কাঁদছিল। বলল, আমাকে ফাঁকি দিয়ে চলে গেছে।ফোনটা যখন পাই, তখন আমি রংপুরে পরবর্তী ইত্যাদির জন্য একটি প্রতিবেদন ধারণ করছিলাম। ফোন পেয়েই বুঝেছিলাম, আকবর আর নেই।
বেশ কিছুদিন থেকেই তার শারীরিক অবস্থা ভালো যাচ্ছিল না। ক্রমশই অবনতি হচ্ছিল। নিয়মিত খোঁজ রাখছিলাম। চিকিৎসকদের সঙ্গেও কথা হচ্ছিল। লিভার, কিডনি, ডায়াবেটিস- সবকিছু মিলিয়ে শারীরিক অবস্থা ছিল অনেকটা নিয়ন্ত্রণের বাইরে। নেওয়া হয় লাইফ সাপোর্টে। অবশেষে জীবনের কঠিন সত্য মৃত্যু (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তবে এটুকু সান্ত্বনা জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত, আকবরের চিকিৎসার কোনো ত্রুটি হয়নি।
প্রধানমন্ত্রী তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছিলেন এবং আর্থিক সহায়তাও দিয়েছিলেন। এ ছাড়াও অনেকেই তাকে সাহায্য সহযোগিতা করেছেন। সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা।
আকবরের সংগীতজীবনের উত্তরণের পথটা সহজ ছিল না। ২০০৩ সালে যাত্রার পর থেকে অনেকটা একাই ওকে নিয়ে যুদ্ধ করেছি। আকবর খুব বেশি গান করেনি। তবে যে কটা করেছে, তা সব প্রজন্মের শ্রোতাদের আবেগ-অনুভূতি ছুঁয়ে গেছে, যা তাকে বাঁচিয়ে রাখবে অনেক দিন। আকবরের এই অকাল মৃত্যুতে আমি শোকাহত। আকবরের আত্মার শান্তি কামনা করছি এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।