তখন তার বয়স মাত্র ৬ বছর। মিষ্টি কথা আর চঞ্চলতায় মাতিয়ে রাখেন সবাইকে। তখন তাকে সিনেমার পর্দায় নিয়ে আসেন কাজী হায়াৎ। সিনেমার নাম ‘কাবুলিওয়ালা’। প্রথম সিনেমায় শিশুশিল্পীর ভূমিকায় অভিনয় করেই নজর কাড়েন সবার। জিতে নেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও।
হ্যাঁ, তিনি প্রার্থনা ফারদিন দীঘি। ছোটবেলাতেই যিনি তারকা খ্যাতি পেয়েছেন। তবে সেটা এক যুগ আগের কথা। এখন দীঘি পরিণত। পূর্ণাঙ্গ নায়িকা হিসেবেও তার অভিষেক হয়েছে। গত বছর তার অভিনীত প্রথম সিনেমা ‘তুমি আছো তুমি নেই’ মুক্তি পায়। এরপর উপহার দেন ‘টুঙ্গিপাড়ার মিয়াভাই’।
এদিকে সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে দীঘির প্রথম ওয়েব ফিল্ম ‘শেষ চিঠি’। সুমন ধর পরিচালিত শেষ চিঠিতে দীঘি যেন একজন পরিপূর্ণ অভিনেত্রী। পাচ্ছেন দর্শকের প্রশংসা। এককথায়, অভিষেকেই সফল তিনি।
সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন দীঘি। সেখানে দীঘি বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেন। তবে সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে দীঘি বলেছিলেন, ‘যদি খারাপ লাগে তাহলে বলবেন, নিজেকে শুধরে নেব’।
এই ভাবনা কখন আসলো, সঞ্চালকের এ প্রশ্নের উত্তরে দীঘি বলেন, এই শিক্ষাটা প্রথম থেকেই আসছে। আমি কিন্তু প্রথম কাজ থেকেই আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে। আমার আত্মপ্রকাশের পর থেকে মানুষ নেতিবাচকগুলো এত নিয়েছে, যার জন্য আমি প্রস্তুত ছিলাম না। আর শিশুশিল্পী যখন থাকি, তখন নেতিবাচক কেউ দেখে না।
দীঘি বলেন, একজন বাচ্চা মেয়ে অভিনয় করছে, এটাই তো বেশি। সেখানে অনেক বেশি ভালোবাসা পেয়ে আসছি আমি। সেই জায়গা থেকে আমি যখন প্রথম নেতিবাচক বিষয়গুলোর মুখোমুখি হই, তখন মানসিকভাবে ভেঙে যাই। এসবের অর্ধেক কাহিনি ‘শেষ চিঠি’র সেটেই ছিল।