শখের বসে দেশ-বিদেশের নানা রকম পশুপাখি পালন করলেও এখন পরিণত হয়েছে কোটি টাকার ব্যবসায়। পশু ও রং-বেরঙের হাঁসের খামার করে ঠাকুরগাঁওয়ের মানুষকে তাক লাগিয়েছেন শাকিব নামে এক উদ্যোক্তা।জেলা সদর থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে বালিয়া ইউনিয়নের সোনা পাতিলা গ্রামে শাকিবের হাঁসের খামার।
খামারে প্রবেশ করতেই চোখে পড়বে ধবধবে সাদা রঙের একটি মহিষ। মহিষের মতোই বিদেশি জাতের বেশকিছু পশু আর রং-বেরঙের হাঁসের দেখা মিলবে আলাদা আলাদা সেটে।
খামারে আমেরিকা,নেদারল্যান্ডস ও বেলজিয়াম থেকে হাঁস সংগ্রহ করা হলেও পাশাপাশি রয়েছে ইন্দোনেশিয়ার মহিষ। এ ছাড়া দেশ-বিদেশ থেকে আনা হয়েছে নানা রকম পশুপাখি। সেটের ভেতর কৃত্রিম পুকুরের পানিতে অপূর্ব সৌন্দর্যের নানা রঙের হাঁসের খুনসুটি মনকাড়ে যে কারোর। একই সঙ্গে সেটের ভেতরেই রাখা হয়েছে ছোট ছোট কাঠের ঘর। সেখানে এসব হাঁসের ডিম থেকে বাচ্চা ফোটানোর ব্যবস্থাও রয়েছে।
চায়নার তিতির মুরগি, আমেরিকার তোলুস, ভুটানের ভুট্টি, আমেরিকার ব্রাহমা ও ফিজিয়ান জাতের গরুর পাশাপাশি আমেরিকার বারবাড়ি ছাগল ও ভারতের গারোল ভেড়াও রয়েছে খামারটিতে। শখের বসে নানা জাতের পশুপাখির লালনপালনের উদ্যোগ গ্রহণ করলেও এখন কয়েক কোটি টাকার ব্যবসায় পরিণত হয়েছে এ উদ্যোগ। স্থানীয়রা জানান, খামারে নানান প্রজাতির অপূর্ব সব পশুপাখি রয়েছে। যেসব এ অঞ্চলে সচরাচর দেখা যায় না। দূর-দূরান্ত থেকে লোকজন আসছেন তার খামারে।
এ বিষয়ে এসএস এগ্রো খামারের উদ্যোক্তা ফজলে এলাহী শাকিব বলেন, ‘আমি বরাবর বিদেশ থেকে ব্যতিক্রমী পশুপাখি ক্রয় করি। শখের বসে পশুপাখি লালনপালন করলেও এখন বাণিজ্যিকভাবে বিক্রির উদ্দেশ্যে খামারে নানা জাতের পশু আনা হয়েছে। তা লালনপালনে এলাকার স্থানীয়রা কাজের সুযোগও পেয়েছে এ খামারে। ভবিষ্যতে আরও নতুন নতুন জাতের পশুপাখি আনা হবে।’
১৯৯৮ সাল থেকে শখের বসে পশুপাখি পালন শুরু করলেও ২০১৮ সাল থেকে ঠাকুরগাঁওয়ে বাণিজ্যিকভাবে এই খামার গড়ে তোলেন শাকিব।
সূত্র: সময় নিউজ।