‘এই লোলুপের দল বাদেও একে একে আমার জীবনে এসেছিল যে প্রেমিকেরা, তাদের দেখে প্রেম বলে কিছু নেই জেনে চেষ্টা করেছিলাম এক নতুন জীবন কিছুদিনের জন্য বেছে নিতে, যেখানে হাত বাড়ালেই সঙ্গী, হাত ছুঁলেই প্রেম!
সেই ধারাবাহিকতায় শুয়েছিলাম গিয়াসউদ্দিন সেলিমের সাথে। শুয়ে শুয়েই সেলিমকে জিজ্ঞেস করেছিলাম কতগুলো মেয়ের সাথে শুয়েছ তুমি? সে উদাস গলায় বলেছিল— পঞ্চাশের ওপরে হবে। যাদের সাথে শুয়েছি তাদের অধিকাংশেরই নাম ভুলে গিয়েছি!’
নারীবাদ থেকে মৌলবাদ–সব কাঁটাতারের বিভেদ ঘুচিয়ে আইনের বেড়াজাল ভেদ করে বেঁচে থাকা এক নারীর আত্মকথা ‘জন্ম ও যোনির ইতিহাস’ গ্রন্থটিতে এমটাই লিখেছেন লেখক জান্নাতুন নাঈম প্রীতি।
বিতর্কিত এ বিষয়টি নিয়ে জনপ্রিয় নির্মাতা গিয়াস উদ্দিন সেলিমকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, ‘উনি যা লিখেছেন সে বিষয়ে আমি কিছু জানি। যে কেউ তার মনগড়াভাবে লিখতে পারেন। এগুলো নিয়ে আমি ভাবি না। এগুলো মামুলি ব্যাপার। আর এ বিষয় নিয়ে আমি কোনো মন্তব্যও করতে চাই না।’
‘জন্ম ও যোনির ইতিহাস’ গ্রন্থটিতে শুধু গিয়াসউদ্দিন সেলিমকে নিয়েই মন্তব্য করে থেমে থাকেননি এই লেখক। সেখানে তিনি বেশ কয়েকজন অভিনেত্রীর নামও উল্লেখ করেছেন। যাদেরকে নিজের শয্যাসঙ্গী বানিয়েছিলেন পরিচালক গিয়াস উদ্দিন সেলিম।
উল্লেখ্য, নালন্দা থেকে প্রকাশিত লেখক জান্নাতুন নাঈম প্রীতি বইয়ের পাতায় তৈরি করেছেন মানবাধিকারের জন্য লড়াই করা মানুষের একটি প্রামাণ্য দলিল।