ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় তারকা শাকিব খান ও অপু বিশ্বাস ২০০৮ সালে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন। ভালোবেসে গোপনে সংসার শুরুর ৯ বছর পর প্রকাশ্যে আসে। ২০১৭ সালের ১০ এপ্রিল কোলে সন্তান নিয়ে একটি বেসরকারি টেলিভিশনে উপস্থিত হয়ে শাকিবের সঙ্গে নিজের গোপন বিয়ে ও সন্তানের খবর জানান অপু বিশ্বাস। এর পর একে-অপরের প্রতি নানা অভিযোগের তীর ছুড়ে বিচ্ছেদ ঘটে।
সম্প্রতি আবারও গুঞ্জন রটেছে আবারও এক হচ্ছেন এই দুই তারকা। এই আলোচনার মধ্যেই মঙ্গলবার (৮ জুলাই) একটি টেলিভিশনে হাজির হয়েছিলেন চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস। সেখানে তার ব্যক্তিজীবনে ঘটে যাওয়া নানা প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন অপু বিশ্বাস। প্রথমে অপু বিশ্বাসের কাছে জানতে চাওয়া হয়, এত অপমান হওয়ার পরও সামান্য টাকার জন্য কেন সহশিল্পী শাকিবের কাছে টাকা চাইতে হলো?
প্রশ্নোত্তরে অপু বিশ্বাস বলেন, এ বিষয়ে সবার মতামতের উত্তর দেওয়ার যোগ্যতা আমার নেই। তবে এটুকু বলতে পারি— প্রত্যেকটা মানুষের স্বাধীনতা আছে। বেলা শেষে নায়িকা হওয়ার পরও আমি ব্যক্তি অপু বিশ্বাস। আমারও নিজস্ব ভালোমন্দ চাহিদা আছে। যারা যেভাবে মন্তব্য করছে, তাতে আমার বাধা নেই। ভালোমন্দ লাগা এটা একান্ত আমার ব্যক্তিগত। এ বিষয়ে আমি কথাও বলতে চাই না এবং অন্যকে শেয়ারও করতে চাই না।
সম্পর্ক জোড়া লাগার যে গুঞ্জন শুনা যাচ্ছে এটা কি সত্যি? প্রশ্নোত্তরে অপু বিশ্বাস বলেন, এটিও আমার একান্ত ব্যক্তিগত বিষয়। আমি মনে করি, ব্যক্তিজীবন থেকে কাজের জায়গায় দর্শকরা বেশি পছন্দ করে আমাকে। আমি মনে করি, আমি একজন অপু বিশ্বাস। সে (শাকিব খান) একজন নায়ক। আমাদের জীবনে যাত্রাপথে যেটা হয়েছে, বেলাশেষে আমরা মানুষ। একটা বিষয় মনে রাখা দরকার, প্রথম যে বিষয়টি হয় সেটিতে অনেক ঘাটতি থাকে। আমারও কিছু ঘাটতি থাকতেও পারে।
বুবলী অপু বিশ্বাসের সংসার ভেঙেছে— এ কথা কি সত্যি? প্রশ্নোত্তরে অপু বিশ্বাস বলেন, সংসারে উথানপতন থাকবে এটিই স্বাভাবিক। এটা ঘটে না এমন সংসার খুবই কম পাওয়া যাবে। তবে বুবলী এ প্রশ্নের যে জবাব দিয়েছে সেটি শুধু আপেক্ষিক। এটা কোনো স্বাভাবিক জীবনের মানুষের উত্তর না। বুবলী যেটা হাইলাইটস করেছে যে, আমাদের সংসারে ঝামেলা চলছিল । সে জন্য তার সঙ্গে শাকিবের প্রেম জমে ওঠে।
আমি মনে করি, যে পরিবারে উত্থানপতন থাকবে না, সেটা কোনো সংসার না। সে জায়গা থেকে শাকিবের সঙ্গে কী ছিল, আর কী ছিল না— সেটি বিষয় নয়; আমিও জানতাম, সেও জানত। বেলাশেষে একটি কথা বলব— শাকিব খান যেহেতু অভিনেতা, সেহেতু তাকে অনেকের সঙ্গে কাজ করতে হয়। বুবলী বলে যে, আমাদের সম্পর্ক ছিল অবিবাহিত। তবে আমরা বিয়েটা শুধু গোপন রেখেছিলাম চলচ্চিত্রের স্বার্থে।
আমি যখন সন্তান নিয়ে প্রথম একটি বেসরকারি চ্যানেলে আসি। তখন শাকিবের সঙ্গে কাজ করা অনেকে নায়িকা আমাকে স্বাগত জানিয়েছে। শুধু একটি নায়িকা (বুবলী) বলেছিল, এটা কি ‘প্রফেশনাল নাকি ইমোশনাল’। আমি খুব হার্ট হয়েছিলাম। শাকিব খানের ওই সময়ের নায়িকা গুনলে হাতের আঙুল শেষ হবে; কিন্তু নায়িকা শেষ হবে না। প্রতিটি নায়িকা আমার পাশে দাঁড়িয়েছিল। একটি মানুষ মাত্র শুধু তার নিজস্ব ফেসবুকে আমাকে নিয়ে লম্বা স্ট্যাটাস দিয়েছেন। নায়িকা হয়ে আরেক নায়িকাকে, মেয়ে হয়ে আরেক মেয়েকে এত বড় কথা কীভাবে বলতে পারল। এটা আমার আদৌ বুঝে আসেনি।
আমি মনে করি, বুবলী তার গর্ত নিজেই তৈরি করেছে। সোশ্যাল মিডিয়ার আর্কাইভে সব কিছু থেকে যায়। পরে আবার দেখাও যায়। এ বিষয়ে আমি আর কথা বলতে চাই না।