বিচারপতি মানিককে যে মামলায় আসামি করা হচ্ছে

সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বৈষমবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত পোশাকশ্রমিক রুবেল হত্যা মামলার আসামি হতে যাচ্ছেন।

মানিকের উপস্থিতিতে আগামী ৩ সেপ্টেম্বর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করা হয়েছে।

গত রবিবার এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আদাবর থানার এসআই মিঠু চন্দ্র বনিক এ মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেছেন।

ঢাকার চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত আগামী ৩ সেপ্টেম্বর আসামির উপস্থিতিতে এ আবেদনের শুনানির দিন ঠিক করেছেন।

গত ২২ আগস্ট পোশাকশ্রমিক রুবেলের বাবা রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে আদাবর থানায় এ মামলা করেন।

মামলার প্রধান আসামি শেখ হাসিনা। এছাড়া এ মামলায় সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান ও চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ, ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমনসহ ১৫৬ জন আসামি। এছাড়া অজ্ঞাত আরও ৪০০-৫০০ জনকে আসামি করা হয়।

মামলায় বলা হয়, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গত ৫ আগস্ট রুবেলসহ কয়েকশ ছাত্র-জনতা সকাল ১১টার দিকে আদাবর থানাধীন রিংরোড এলাকায় প্রতিবাদী মিছিল বের করে। এসময় পুলিশ, আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, শ্রমিক লীগ, তাঁতীলীগ, কৃষকলীগ, মৎসজীবী লীগের নেতাকর্মীরা গুলি চালায়। এতে রুবেল গুলিবিদ্ধ হন। নিকটস্থ একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় ২২ আগস্ট আদাবর থানায় মামলাটি করেন রুবেলের বাবা রফিকুল ইসলাম।

এ মামলায় প্রধান আসামি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অন্যান্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন- শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানা, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, ক্রিকেটা সাকিব আল হাসান, নায়ক ফেরদৌস, ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন।

রুবেল হত্যা মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গত ৫ আগস্ট রুবেলসহ কয়েকশ ছাত্র-জনতা সকাল ১১টার দিকে আদাবর থানাধীন রিংরোড এলাকায় প্রতিবাদী মিছিল বের করে। এসময় পুলিশ, আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, শ্রমিক লীগ, তাঁতীলীগ, কৃষকলীগ, মৎসজীবী লীগের নেতাকর্মীরা গুলি চালায়। এতে রুবেল গুলিবিদ্ধ হয়। নিকটস্থ একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

উল্লখ্য, কানাইঘাট উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় গত ২৩ আগস্ট রাত সাড়ে ৯টার দিকে শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে স্থানীয় কয়েকজন যুবকের সহায়তায় আটক করে বিজিবি। পরদিন তাকে কানাইঘাট থানায় হস্তান্তর করা হয়। এরপর ফোজদারী কার্যবিধির ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে ওই দিন বিকালে আদালতে হাজির করলে সিলেটের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-১ আলমগীর হোসাইন কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

আদালতে প্রবেশের সময় আদালত প্রাঙ্গণে থাকা বিএনপির কয়েকজন নেতাকর্মী ও আইনজীবী শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে বেধড়ক কিলঘুষি মারেন। অনেকে ডিম ছোড়ার পাশাপাশি জুতাও নিক্ষেপ করেন। কেউ কেউ শামসুদ্দিন চৌধুরীর নাম উল্লেখ করে কটূক্তিমূলক স্লোগানও দেন এবং লাঞ্ছিত করেন। সেখান থেকে কারাগারে নিয়ে যাওয়ার পর সন্ধ্যায় অসুস্থ হলে পড়লে তাকে হাসপাতালে আনা হয়। বর্তমানে তিনি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।