কার্টুনের মাধ্যমে ড. ইউনূস ও খালেদা জিয়াকে পদ্মায় চুবিয়েছিলেন আরাফাত

শান্তিতে নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে চুবানি দিয়ে পদ্মা সেতুতে তোলা, আর সাবেক প্রধানমন্ত্রী, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে টুস করে নদীতে ফেলা উচিত বলে মন্তব্য করেছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০২২ সালের মে মাসের ঘটনা এটি।

শেখ হাসিনার এই বক্তব্যের জের ধরে একটি কার্টুন টুইট (এক্স) করেছিলেন মোহাম্মদ এ আরাফাত। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম এক্সে ওই পোস্ট করেছিলেন ২০২২ সালের ২০ মে।

কার্টুনে দেখা যায়, শেখ হাসিনা পদ্মাসেতু থেকে উঁকি দিয়ে হাসিমুখে নিচে দেখছেন ড. ইউনূস ও খালেদা জিয়া পানিতে হাবুডুবু খাচ্ছেন।

কার্টুনের সঙ্গে শেয়ার করা ক্যাপশনে আরাফাত লিখেন, ‘পদ্মা সেতু’ শুধুমাত্র একটি সেতু বা অবকাঠামো নয়, এটি আরও অনেক বড় একটি বিষয়। দূর্নীতির মিথ্যা অপবাদ ও ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে, দেশপ্রেমে বলিয়ান হয়ে, সাহসিকতার সাথে লড়াই করে বিজয়ী হওয়ার গল্প এটি…

প্রসঙ্গত, রাজধানীর গুলশান এলাকা থেকে সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাতকে (মোহাম্মদ এ আরাফাত) গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) দুপুরে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) একটি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রিসভায় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন আরাফাত।

এর আগে আরাফাত, তার স্ত্রী ও তাদের মালিকানাধীন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবের লেনদেন স্থগিতের নির্দেশ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা বিভাগ।

‘পদ্মা সেতু’ শুধুমাত্র একটি সেতু বা অবকাঠামো নয়, এটি আরো অনেক বড় একটি বিষয়। দূর্নীতির মিথ্যা অপবাদ ও ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে, দেশপ্রেমে বলিয়ান হয়ে, সাহসিকতার সাথে লড়াই করে বিজয়ী হওয়ার গল্প এটি…….. pic.twitter.com/AYPJhMAU6V

উল্লেখ্য, ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পর সাবেক এই প্রতিমন্ত্রীকে আর জনসমক্ষে দেখা যায়নি। আরাফত দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের একজন থিংক ট্যাংক হিসেবে কাজ করছেন।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে ঢাকা-১৭ আসন থেকে জয়ী হন আরাফাত। পরে শেখ হাসিনার নতুন মন্ত্রিসভায় প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন তিনি।

এর আগে ২০২৩ সালের জুলাইয়ে একই আসনের উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হিরো আলমকে হারিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন আরাফাত। আর দলীয় পদপদবীর ক্ষেত্রে ২০২২ সালের ডিসেম্বরে তিনি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য হন। আরাফাতের বাবা মোহাম্মদ সেতাব উদ্দিন বাংলাদেশ বেতারের পরিচালক ছিলেন। আরাফাত অভিনেত্রী শমী কায়সারকে ২০০৮ সালের ২৪ জুলাই বিয়ে করেন। ২০১৫ সালে তাদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়। এরপর বিয়ে করেন শারমিন মুস্তারিকে।