হিন্দু কর্মকর্তাদের নামের তালিকা কেন দরকার, জানা গেল

শারদীয় দুর্গোৎসব ও বিজয়া দশমীতে বঙ্গভবনে অনুষ্ঠিতব্য শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণের জন্য সনাতন ধর্মাবলম্বীদের তালিকা চাওয়া হয়েছিল বলে জানিয়েছে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়। তবে প্রথম চিঠিতে কোথাও শারদীয় দুর্গোৎসব ও বিজয়া দশমীর বিষয়টি উল্লেখ না থাকায় বিভ্রান্তি দেখা দেয়। এই ভুলের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে মন্ত্রণালয়।

শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা আসিফ আহমেদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উক্ত পত্রে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সূত্র উল্লেখপূর্বক রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের পত্রের সংযুক্তি হিসেবে প্রেরণ করা হলেও পত্রের বিবরণে শারদীয় দুর্গোৎসব ও বিজয়া দশমী ২০২৪ উদযাপন উপলক্ষ্যে বঙ্গভবনে অনুষ্ঠিতব্য ও শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানের কথাটি উল্লেখ করা হয়নি। ফলে পত্রটির বিষয়ে বেশ বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়।

রাষ্ট্রপতির কার্যালয় থেকে পাঠানো পত্রের পরিপ্রেক্ষিতে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের দপ্তর/সংস্থায় প্রেরিত পত্রে শারদীয় দুর্গোৎসব ও বিজয়া দশমী ২০২৪ উদযাপন উপলক্ষ্যে বঙ্গভবনে অনুষ্ঠিতব্য শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানের বিষয়টি উল্লেখ না করার কারণে সৃষ্ট বিভ্রান্তির জন্য বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় আন্তরিক ভাবে দুঃখ প্রকাশ করছে। ইতোমধ্যেই বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।

প্রসঙ্গত, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের থেকে হিন্দু ধর্মাবলম্বী কর্মকর্তাদের তালিকা চেয়ে গত ২৭ আগস্ট জারি করা চিঠি নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়। কী কারণে এ তালিকা চাওয়া হয়েছে, এর উদ্দেশ্য নিয়ে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হয়। যার পরিপ্রেক্ষিতে আজ আবার সংশোধনী দিয়ে চিঠি ইস্যু করে এই মন্ত্রণালয়।