কোরবানির মাংস রান্নায় আমাদের বাড়ির ঐতিহ্য আছে : তমা মির্জা

ঈদ মানে আনন্দ। এ আনন্দে পিছিয়ে থাকে না শোবিজ অঙ্গনও। ঈদের ছোঁয়া লেগেছে শোবিজ তারকাদের মনেও। অনেকেই নাড়ির টানে ছুটে গেছেন নিজের জেলায়। অনেকে রাজধানী ঢাকাতেই থাকছেন এই ঈদে। তবে এবারের ঈদ তমা মির্জার জন্য স্পেশাল। কারণ এই ঈদে তার সিনেমা ‘সুড়ঙ্গ’ মুক্তি পাচ্ছে।

রান্নাবান্না আর খাবারের পর সিনেপ্লেক্সগুলোয় যাবেন তমা মির্জা। নিজে দেখবেন পাবলিক রিয়্যাকশন। তমা বলেন, ‘এবারের ঈদ আমার জন্য স্পেশাল। কারণ ‘সুড়ঙ্গ’ মুক্তি পাচ্ছে। রান্না-বান্না আর খাবার শেষ করেই সিনেপ্লেক্সগুলোয় ঢুঁ মারবো। দর্শক রেসপন্স কেমন উপভোগ করবো।’

কিন্তু কোরবানি ঈদ মানেই নারীদের জন্য রান্না ঘরে ব্যস্ত সময় কাটানো। কতটা সময় পাবেন তমা? প্রশ্ন করতেই তমা বলেন, ‘নরমালি রান্না করা হয় ঠিকই, কিন্তু ঈদে রান্নাঘরে একেবারেই ঢোকা হয় না। কারণ মা। মা সেদিন রান্নাঘর সামলান। মায়ের হাতের গরুর মাংস আর সেমাই ছাড়া আমাদের ঈদ একেবারেই জমে না।’

সাধারণত ঈদের দিন কেমন কাটে তমা মির্জার? উত্তরে তিনি বলেন, ‘ঈদের দিন কোরবানির মাংস সবাইকে নিজের হাতে বিলি করার কাজটা আমি নিজে করি। কোরবানির মাংস রান্না করা নিয়ে আমাদের বাড়ির নিজস্ব ঐতিহ্য আছে। আমার নানাবাড়ি-দাদাবাড়ি দুটিই বাগেরহাটে। ছোটবেলায় সেখানে ঈদ করতে যেতাম। নানাবাড়িতে নানা একটি বিশেষ মাংস রান্না করতেন। বড় পাতিলে করে পুরো কোরবানির মাংস চুলায় বসিয়ে দিতেন। ধীরে ধীরে জ্বাল দিয়ে রান্না হতো সেই মাংস- কী যে তার স্বাদ! মা বাড়ির সেই ঐতিহ্য ধরে রাখার চেষ্টা করেন। কোরবানির পর মাংস নিয়ে বড় পাতিলে রান্না বসান মা।’

তমা মির্জা অভিনীত ‘সুড়ঙ্গ’ সিনেমায় আফরান নিশোর বিপরীতে অভিনয় করেছেন তমা মির্জা। সিনেমাটি নির্মাণ করেন রায়হান রাফি।