গ্রামের মা-বোনদের স্বাবলম্বী করবেন মাহিয়া মাহি

রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি। আর মাত্র কয়েকদিন পরেই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। বর্তমানে নির্বাচনের প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন এই নায়িকা। এবার ফেসবুক লাইভে এসে গোদাগাড়ী-তানোরের মা-বোনদের অভিমান করে বসে না থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন মাহি।

শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) রাত ৩ টায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে এসে গোদাগাড়ী-তানোরের উদ্দেশে বার্তা দেন মাহি। এ সময় তিনি বলেন, আপনাদের এক আঙুলের ছাপ, আমাদের চার আঙুলের কপাল বদলে দিবে।

মা-বোনদের উদ্দেশে মাহি বলেন, আমার প্রিয় এবং মা বোনদের সালাম জানাই। আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আমি ভীষণ চিন্তায় আছি। কারণ আমার সব মা-বোনদের কাছাকাছি আমি যেতে পারছি না। আমার খুব ইচ্ছে ছিল প্রত্যেকটা গ্রামের বাড়িতে বাড়িতে আমি যাব। সবাইকে ধরে ধরে কথা বলব। এবং আমি শিউর যদি সেটা সম্ভব হতো, তাহলে আমার একটা মা-বোনদের ভোটও মিস হতো না।

চিত্রনায়িকা আরও বলেন, কিন্তু যেহেতু আমি মানুষ, জ্বীন-ভূত না। তানোর এবং গোদাগাড়ীর মধ্যে এতো বৃহৎ এলাকা। এজন্য এতো কম সময়ের মধ্যে প্রত্যেকটা গ্রামে আমার পক্ষে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। কিন্তু আমি সবাইকে অনুরোধ করব আমার মা-বোনর, মা—গো আপনারা অভিমান করে ভোট দিবেন না আমাকে, প্লিজ এটা করবেন না। এমন অভিমান নিয়ে প্লিজ বসে থাকবেন যে, মাহি তো আমাদের কাছে আসলো না, আমাদের কাছে তো ভোট চাইল না। এই অভিমানটা করবেন না আমার মা-বোনরা।

আপনাদের সন্তান হিসেবে, বোন হিসেবে আমাকে শুধু একটা সুযোগ দিয়ে দেখেন। আমাকে এতোবারই আমাকে দেখতে পাবেন এই পাঁচ বছরে আপনারা বিরক্ত হয়ে যাবেন যে, একটা মানুষ এতো বেশি কেন আমাদের কাছে আসে। তখন এটাতে আপনারা বিরক্ত হয়ে যাবেন।

মাহি বলেন, আমার প্ল্যান আছে প্রতি ইউনিয়নে তিনটি তিনটি ওয়ার্ড করে আমি মিটিং করব। ওই গ্রামের মা-বোনদের নিয়ে মিটিং করব। ওই গ্রামের মা-বোনদের কি সমস্যা, কি করলে তারা স্বাবলম্বী হতে পারবে সেসব বিষয় নিয়ে মিটিং করব এবং একদম আপনাদের কাছাকাছি থাকব।

তিনি বলেন, গত ১৫ বছরে যাকে আপনারা ১৫ দিনও দেখতে পাননি, আমাকে আপনারা এতোবার দেখবেন যে অতিষ্ঠ হয়ে যাবেন। আমি আপনাদেরকে হাত জোর করে অনুরোধ করছি আগামী ৭ তারিখে দলে-বলে ভোট দিতে যাবেন। আপনাদের একটা আঙুলের ছাপ, আমাদের এই চার আঙুলের কপালকে বদলে দিবে।

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে প্রথমে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ (নাচোল-গোমস্তাপুর-ভোলাহাট) আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলেন মাহিয়া মাহি। কিন্তু দলীয় মনোনয়নবঞ্চিত হয়ে তিনি রাজশাহী-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। তবে ১ শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষরের গরমিল থাকায় তার মনোনয়নপত্র বাতিল করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। পরে নির্বাচন কমিশনে আপিলের পর প্রার্থিতা ফিরে পান তিনি।

রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি (শারমিন আক্তার নিপা)। তার প্রতীক ট্রাক। আর নৌকার প্রার্থী ওমর ফারুক চৌধুরী। তিনি টানা ৩ বার ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে নির্বাচিত হন।

রাজশাহী-১ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মোট ১০ প্রার্থী। আওয়ামী লীগের ওমর ফারুক চৌধুরী ও স্বতন্ত্র মাহিয়া মাহি (শারমিন আক্তার নিপা) এ ছাড়াও রয়েছেন স্বতন্ত্র মো. গোলাম রাব্বানী (কাঁচি প্রতীক) এবং স্বতন্ত্র মো. আখতারুজ্জামান (ঈগল প্রতীক) জাতীয় পার্টির শামসুদ্দিন (লাঙ্গল প্রতীক), ন্যাশনাল পিপলস পার্টির নুরুন্নেসা (আম প্রতীক), তৃণমূল বিএনপির জামাল খান (সোনালী আঁশ প্রতীক), বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের বশির আহমেদ (ছড়ি প্রতীক), বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের (বিএনএফ) আল সামাদ (টেলিভিশন প্রতীক), বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের (বিএনএম) সামসুজ্জোহা বাবু (নোঙর প্রতীক)।