দেশের মাটিতেই চাষ হচ্ছে দার্জিলিং জাতের রসালো কমলা

খেতে যেমন সুস্বাদু তেমনি মিষ্টি। দার্জিলিং জাতের কমলা চাষ করে বাজিমাত করেছেন গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার সফল কমলা চাষি আবদুল হালিম। চলতি বছর প্রায় সবগাছেই এসেছে ফলন। তার দেখাদেখি এখন এলাকার অনেক চাষিই কমলার বাগান করতে উৎসাহী হচ্ছে বলে জানান তিনি।

আবদুল হালিম বন্ধুর পরামর্শে ২০১৯ সালে নিজের পুকুর পাড় সংলগ্ন তিন বিঘা জমিতে ২০০ কমলা গাছ দিয়ে শুরু করেন কমলার চাষ। সেই যে শুরু আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। বর্তমানে তার বাগানে বারি-২, চায়না-থ্রি ও দার্জিলিং জাতের কমলা রয়েছে। এছাড়াও বিগত দুই বছরে তিনি কমলা বিক্রি করে প্রায় ছয় লাখ টাকা আয় করেন।

তিনি বলেন, ২০২২ সালে প্রথম কমলার ফল আসা শুরু করে। সেই বছরেই প্রায় ৩ লাখ টাকার কমলা বিক্রি করি। আমার বাগানের কমলার স্বাদ, রস ও মিষ্টতা তুলনামূলক ভালো। তাই স্থানীয় বাজার সহ আশেপাশের জেলাগুলোৎ এই কমলার ব্যাপক চাহিদা সৃষ্টি হয়েছে। চলতি বছর এ পর্যন্ত প্রায় লাখ টাকার কমলা বিক্রি করেছি।

স্থানীয়রা বলেন, শুরুতে হালিমের কাজকে তেমন গুরুত্ব না দিলেও এখন গাছভর্তি পাকা কমলা দেখে আমরা অভিভূত। হালিম এখন এই এলাকার জন্য অনুকরণীয় এক আদর্শ কমলাচাষি। তার দেখাদেখি আমরাও কমলার বাগান করতে উৎসাহ পাচ্ছি।

গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সৈয়দ রেজা-ই-মাহমুদ বলেন, কমলা চাষ করে হালিম যে সফলতা দেখিয়েছেন তা কৃষি বিভাগের জন্যও একটি গৌরবময় সাফল্য। আগামীতে কৃষি বিভাগ থেকে তাকে আরও প্রযুক্তিগত সহায়তা দেওয়া হবে।