ভোঁদড়টিকে পানিতে ছেড়ে দিলেই নিয়ে আসে বিশাল বড় বড় মাছ

সোশ্যাল মিডিয়া এবং একটি প্ল্যাটফর্ম যার মাধ্যমে সহজেই দেশের বিভিন্ন খবরা-খবর ও ভাবের আদান-প্রদান হয়ে থাকে। সহজেই একে অন্যের সাথে যোগাযোগ ও নানান বিষয়ে জানা যায়। বর্তমানের অন্যতম একটি দিক হচ্ছে ভাইরাল হওয়া। অনেকেই ভাইরাল হওয়ার জন্য নানান কিছু করে থাকেন। কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে মানুষের স্বাভাবিক জীবন-জীবিকায় ভাইরাল হয়ে যায়।

সোশ্যাল মিডিয়া আমাদের বিভিন্ন ধরনের বিনোদন দিয়ে থাকে। দেশের মানুষ বিভিন্ন আলোচিত বিষয় নিয়ে ধারণা পেয়ে থাকে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে। কোন একটি ঘটনা মুহুর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে। মানুষ সহজেই জানতে পারে কীভাবে এবং কেন ঘটেছিল। তারপর শুরু হয় আলোচনা সমালোচনা।

কে কিভাবে নিজেকে আত্মপ্রকাশ করবে তাই নিয়েই চলে সোশ্যাল মিডিয়াতে যুদ্ধ। সকলেই চায় আলোচনায় এসে নিজেকে ভাইরাল করতে যাতে সকল ও সর্বস্তরের মানুষ তাকে জানতে পারে। শুধু মানুষই নয় বিভিন্ন কর্মকান্ডের মাধ্যমে বিভিন্ন কাজ ভাইরাল হয়ে থাকে এমন একটি ভাইরাল হলো যা বর্তমানে ছেলে মেয়েদের যারা প্রাচীন পদ্ধতি সম্পর্কে অবগত নয় তারা জানতে পারবে কিভাবে প্রাচীন পন্থা অবলম্বন করে মাছ ধরা যায়।

তেমনি কি ভাইরাল বিষয় হচ্ছে জন্তু দিয়ে মাছ শিকার করা। আমরা সব সময় জানি শুধুমাত্র জেলেরা মাছ ধরার জন্য জাল ব্যবহার করেন। বাংলাদেশ কিছু কিছু অঞ্চলের মানুষ , সেই প্রাচীনকাল থেকেই জন্তু দিয়ে মাছ শিকার করে থাকেন। প্রাচীনপন্থী এই কাজটি করার জন্য কিছু ভোঁদড় ব্যবহার করা হয়।

যাতে করে ভোদরের গলায় দড়ি পেচিয়ে পানিতে ছেড়ে দেওয়া হয় ভোঁদড় গুলো পানিতে মাছ কে তাড়া করে এবং জেলের জলের মধ্যে তাড়িয়ে নিয়ে আসে। আবার ঠিকঠাক মতো কাজ করতে পারলে তাদের কপালে জুটে পুরস্কার, মাছ।

একসময় মাছ ধরতে সুন্দরবন পর্যন্ত চলে যেতেন জেলেরা। বর্তমানে গোপালগঞ্জ, মধুপুর আশেপাশের আরিয়ালখা, ধাত্রী নদী এসব জায়গায় মাছ ধরছে জেলেরা। আশঙ্কা করা হচ্ছে দুই দশকের মধ্যে এই জন্তু দিয়ে মাছ ধরা বিলুপ্ত হয়ে যাবে। যা সম্পর্কে হয়তো আগামী প্রজন্ম খুব বেশি একটা জানবে না। কিন্তু অনেক আগে থেকেই এই রীতি চলে আসছে আমাদের ঐতিহ্য।