রাজের সঙ্গে তিশা-সুনেরাহর গোপন ভিডিও ক্লিপ ফাঁস

মধ্যরাতে নেটাগরিকরা যখন ঘুম ঘুম চোখে ফেসবুকে, তখন হঠাৎ করে অভিনেতা শরীফুল রাজের আইডি থেকে সামনে আসে অভিনেত্রী সুনেরাহ বিনতে কামাল, তানজিন তিশা ও নাজিফা তুষির আপত্তিকর অবস্থার এবং ধূ’মপান ও ম’দ্যপানের অবস্থার ছবি ও ভিডিও ক্লিপ।

ছবিগুলোর কোনোটায় রাজকে দেখা যায় সুনেরাহর সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলছেন, কোনোটায় সুনেরাহকে জড়িয়ে ধরে হাসছেন। একটি ভিডিওতে (রাজ সামনে আসেননি) রাজ জিজ্ঞেস করেন, কী করলা? নারী কণ্ঠে বলতে শোনা যায়, তোমাকে চু’মু খেয়েছিসহ অ’শ্লী’ল বাক্যালাপ।

বাকি ভিডিওগুলোতেও রাজের সঙ্গে তার অ’শ্লী’ল কথোপকথন শোনা যায়। এসময় ম’দ্য’পান নিয়েও কথা বলেন তারা। সম্ভবত ম’দ্য’প অবস্থায় ছিলেন এ যুগল। ক্যাপশনে ভুল বানানে লেখা হয়েছে, love you crezy gril (Girl), those day.

যদিও সেগুলো প্রকাশের ২০ মিনিট পেরোনোর আগেই সরিয়ে ফেলা হয়। কিন্তু ততক্ষণে এসব ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

গভীর রাতেই সমালোচনার মুখে পড়েন রাজ, সুনেরাহ, তিশা ও তুষিরা। এ ঘটনার কিছুক্ষণ পর নিজের ফেসবুক হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করেছেন সুনেরাহ। সেখানে এ ঘটনার জন্য তিনি আকার-ইঙ্গিতে দোষারোপ করেছেন পরীমনিকে।

অভিনেত্রী সুনেরাহ লিখেছেন, ‘আপনারা যে ভিডিওগুলো দেখেছেন, (শরিফুল রাজের অ্যাকাউন্টে) সেগুলো পাঁচ বছর আগের। ‘ন ডরাই’ সিনেমার সময়ের। সেই সময় আমরা এভাবেই মজা করতাম, আর প্রতিদিন এভাবে কথা বলার প্র্যাকটিস করতাম। কারণ, আমাদের (বিশেষ করে আমাকে) সিনেমার প্রয়োজনে গালি দিতে হয়েছে এভাবে।’

‘তখন তাকে (শরিফুল রাজ) একটি ছবি পাঠিয়েছিলাম আমি, এটা জানানোর জন্য যে শুটিংয়ে মা’র খেয়েছি আমি (যেখানে লিয়াকত আমাকে মারে, ন ডরাই সিনেমাটি দেখেছেন যারা, তারা জানবেন বিষয়টি), মা’র খাওয়ার পর কালশিটে পড়েছিল, উঠে দাঁড়াতেও পারছিলাম না। শুটিংয়ে যেতে পারব না, এটা জানানোর জন্যই পাঠিয়েছিলাম ছবিটি। শুধু তাকে না, পরিচালককেও পাঠিয়েছিলাম।’

এছাড়া স্ট্যাটাসের শেষে এসব ছবি ও ভিডিও ফাঁসের ঘটনায় আকার-ইঙ্গিতে আলোচিত অভিনেত্রী পরীমনিকে দায়ী করেছেন সুনেরাহ।

তিনি লিখেছেন, ‘দয়া করে এ বিষয় নিয়ে বাড়াবাড়ি করবেন না। আমি নিশ্চিত, ওর (শরিফুল রাজ) আইডি হ্যাকড হয়েছে। আর কে হ্যাক করেছে, আমরা সবাই সেটা জানি, প্রকাশ্যে হইচই করতে কোনো কারণ লাগে না যার (সেই করেছে)। এ ভিডিওগুলো যারা ছড়াবে, তাদের সবার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেব আমি।’