সমুদ্রসৈকতে দেখা মিললো বাস্তবের মৎস্য কন্যার

মৎস্যকন্যা মানুষের চিরকালের কল্পনা। পৃথিবীর সব দেশের রূপকথার মধ্যেই মৎস্যকন্যার গল্প আছে। বিজ্ঞান দিয়ে প্রমাণ করা যায় যে মৎস্যকন্যার গল্প শুধু গল্পই। এর কোনো বাস্তব ভিত্তি নেই। তার পরেও বিভিন্ন কার্টুন ও এনিমেশন ফিল্মে বারবার ফিরে আসে এই গল্প।

গল্পের মৎস্যকন্যার শরীরের ওপর দিক মানুষের মতো ,নিচের দিক মাছের মতন। গল্পের মতো না হলেও সম্প্রতি এমা হার্পার নামে এক মহিলার কথা জানা গেছে যিনি সত্যি মৎস্যকন্যা বা Real-life ‘Mermaid’ নামে পরিচিত। এমাকে অনেকে ‘Mischief the Mermaid’ বলেও ডাকেন।

ব্রিটেনের বাসিন্দা এমার বয়স প্রায় ৪১, এবং তাঁর তিন সন্তান আছে। ব্রিটেনের কর্নওয়ালের বাসিন্দা এমা একজন মানুষ। তিনি একজন শিল্পী ও পেশাদার সাঁতারু তিনি সমুদ্রের গভীরে প্রায় ৬৫ কিমি পর্যন্ত যেতে পারেন। এখানেই শেষ নয়, তিনি জলের তলায় প্রায় ৪ মিনিট পর্যন্ত তাঁর শ্বাস রোধ করে রাখতে পারেন।

এমা একটি ‘স্কুবা ডাইভিং’ শেখান, এবং নিজে প্রায় ১৫ কেজিরও বেশি ওজনের পোশাক পরে জলে নামেন। তাঁর পোশাকের পিছনের অংশ একেবারে মাছের মত। জলের তলায় তাঁকে হুবহু রূপকথার গল্পের জীবন্ত মৎস্যকন্যার মতো দেখতে লাগে।

ভারী সিলিকনের তৈরি ওই কৃত্রিম লেজ নিয়েই সাঁতার কাটেন এমা। এভাবে জলের অনেকটা গভীর পর্যন্ত যান এমা। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন ডুবসাঁতারে মন ভাল থাকে। সমুদ্রের তলায় একটা আলাদা জগৎ আছে, যেখানে অনেক শান্তি পাওয়া যায়। আমাদের উচিত সে জগৎকে সুন্দর ও পরিষ্কার রাখা। এই সচেতনতা সকলের থাকা উচিতবলে তিনি মনে করেন।